পুঠিয়ায় এনজিওর মালিকসহ ১০ জনের নামে মামলা


 আবু হাসাদ, পুঠিয়া:

রাজশাহীর পুঠিয়ায় নামসর্বস্ব এনজিও গ্রাহকদের জামানত নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় অবশেষে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্থানীয় একজন গ্রাহক বাদী হয়ে ওই এনজিওর মালিকসহ মোট ১০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশ তিনজন মাঠকর্মীকে আসামী দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজাতে পাঠিয়েছেন। আটককৃত তিনজন মাঠকর্মীরা হচ্ছেন উপজেলার বেলপুকুর এলাকার বাসিন্দা মহিনী (১৮), জুই (২৩) ও বর্ষা (১৮)।

মামলার বাদী মনিরুল ইসলাম বলেন, বর্ষা মাঝদিঘা ক্ষুদ্র সমবায় সমিতি লিমিটেড নামের ওই এনজিও আমারসহ ঝলমলিয়া বাজার ও এর আশে পাশের এলাকার লোকজনের নিকট থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকা জামানত নিয়েছে। তারা প্রথমে আমাদের অল্প সুদে ঋণ দেবেন বলে প্রলোভন দেয়। করোনাভাইরাসের এই মহাসংকটে সাধারণ লোকজনের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ যাচ্ছে। তারা অল্প সুদে টাকা নিয়ে আবারো ঘুরে দাড়াতে চেয়ে ছিল। আর ওই এনজিওটি সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে পালিয়ে গেছে।

এ ঘটনায় মালিক কামরুল ইসলামসহ এনজিওর ১০জন কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নাম প্রকাশ না করা শর্তে ওই এনজিওর একজন মাঠকর্মী বলেন, বর্ষা মাঝদিঘা ক্ষুদ্র সমবায় সমিতি লিমিটেডের এই অফিসে আমরা অনেকই চাকুরি করি। এখানে যারা চাকুরি নিয়েছেন তাদের সকলকেই কাজ শুরুর আগে জামানত হিসাবে মোটা অংকের টাকা দিতে হয়েছে।

এনজিওটি চালু হওয়ার পর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন এলাকায় তাদের গ্রাহক সৃষ্টির কার্যক্রম চালিয়েছে। প্রাথমিক ভবে ধারণা করা হচ্ছে বিভিন্ন এলাকা থেকে অর্ধকোটিরও বেশী টাকা জামানত হিসাবে আদায় করা হয়েছে। এর মধ্যে ধোপাপাড়া, ঝলমলিয়া ও মোল্লাপাড়া এলাকায় গ্রাহক বেশী। এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রাহকের জামানত নিয়ে পালিয়ে যাওয়া এনজিওর বিরুদ্ধে মনিরুল ইসলাম নামে এক ভূক্তভোগি বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতেই থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

ওই মামলায় এনজিওর মালিক কামরুল ইসলামসহ মোট ১০ জনকে আসামী করা হয়েছে। আর গ্রাহকদের আটককৃত তিন মাঠকর্মীকে তালিকাভূক্ত আসামী দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস আগে পুঠিয়ার ঝলমলিয়া বাজার এলাকায় অবস্থিত বর্ষা মাঝদিঘা ক্ষুদ্র সমবায় সমিতি লিমিটেড নামে একটি এনজিও চালু করেন নাটোর জেলার মাঝদিঘা এলাকার কামরুল ইসলাম।

পরে পুঠিয়ার বেকার যুবক-যুবতিতের নিকট থেকে মোটা অংকের জামানত নিয়ে চাকুরি দেন। চাকুরি প্রাপ্তদের বিভিন্ন গ্রাম ও বাজার গুলোতে গ্রাহক সৃষ্টি করার দ্বায়িত্ব দেয়া হয়। এদিকে বৃহস্পতিবার অফিসে তালা দিয়ে গ্রাহদের জামানত নিয়ে পালিয়ে যায় ওই এনজিও লোকজন।


শর্টলিংকঃ