পুঠিয়ায় করোনা আতঙ্কে অনুপস্থিত ১৫ জন ছাত্রীদের পিটিয়েছে শিক্ষক


নিজস্ব প্রতিবেদন

রাজশাহীর পুঠিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গত কয়েকদিন থেকে করোনা ভাইরাস আতঙ্কে অনেক ছাত্রীরা ক্লাসে আসছে না। এ ঘটনায় ৮ম শ্রেণির অনুপস্থিত থাকার অযুহাতে ১৫ জন শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ডেকে পিটানোর অভিযোগ উঠেছে।

পুঠিয়ায় করোনা আতঙ্কে অনুপস্থিত ১৫ জন ছাত্রীদের পিটিয়েছে শিক্ষক

স্কুল সূত্রে জানা গেছে, ক্লাসে অনুপস্থিত থাকার অযুহাতে গত বৃহস্পতিবার সকালে ৮ম শ্রেণির ১৫ ছাত্রীকে পিটিয়েছেন স্কুলের সহকারী শিক্ষক পল্লব কুমার সেন ডাকু। এ ঘটনায় স্কুলের সকল ছাত্রীদের মাঝে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। পিটুনি আতঙ্কে অনেক ছাত্রীরা ক্লাসে আসতে চাচ্ছে না।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে পালোপাড়া গ্রামের একজন ছাত্রীর অভিভাবক জানান, দেশে গত কয়েকদিন থেকে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক বিরাজ করছে। এতে আমার মেয়েসহ অনেক শিক্ষার্থীরা জনসমাগম এড়াতে স্কুলে যাচ্ছে না। গত বৃহস্পতিবার আমার মেয়েকে জরুরী ভাবে স্কুলে যেতে বলা হয়। এরপর সে স্কুলে গেলে অনুপস্থিত থাকার অযুহাতে তাকেসহ অনেক ছাত্রীদের লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। যা একজন অভিভাবক হিসাবে মেনে নেয়া যায় না।

স্কুলের সহকারী শিক্ষক পল্লব কুমার সেন ডাকু বলেন, ইদানিং ছাত্রীরা স্কুলের ক্লাসের চেয়ে প্রাইভেট নিয়ে বেশী ব্যস্ত থাকে। ৮ম শ্রেণিতে প্রায় ১২০ জন ছাত্রী রয়েছে। এদের মধ্যে গড় প্রতিদিন ২০/৩০ জন ছাত্রী উপস্থিত থাকে। ক্লাসে উপস্থিত বাড়াতে গত বৃহস্পতিবার অনুপস্থিত ছাত্রীদের আমি শাসন করেছি মাত্র। এরপর থেকে ছাত্রীদের উপস্থিতি বেড়ে গেছে।

তবে বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ছাত্রীদের পিটানোর মত কোনো ঘটনা আমার জানা নেই। আর এ বিষয়ে শিক্ষার্থী বা অভিভাবক আমাকে কোনো অভিযোগও দেয়নি।এ বিষয়ে বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আহসানুল হক মাসুদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুল হক বলেন, এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে নিয়ম অনুসারে শিক্ষার্থীদের পিটানোর কোনো বিধান নেই। যদি এ রকম কোনো ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে অব্যশই তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।


শর্টলিংকঃ