Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

পুঠিয়ায় চিকিৎসকহীন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র ফার্মাসিস্টই ভরসা


আবু হাসাদ,পুঠিয়া :

রাজশাহীর পুঠিয়ায় উপজেলা ৫টি উপ স্বাস্থ্য-কেন্দ্রে দীর্ঘদিন থেকে চিকিৎসক নেই। যার কারণে সেখানে ফার্মাসিস্ট দিয়ে চলছে রোগীদের নামমাত্র সেবা। এতে করে প্রতিদিন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আগত শত শত রোগীরা সঠিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। 


উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের পচাঁমাড়িয়া, ভালুকগাছির গোপালপাড়া, বানেশ্বরের শিবপুর হাট ও বেলপুকুর-ধাদাস এলাকায় রয়েছে এই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলো। দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোতে কোনো চিকিৎসক নেই। গত কয়েক মাস আগে কিছু দিনের জন্য একজন করে চিকিৎসক দেয়া হলেও বর্তমানে আর নেই। যার করণে সেখানে সহকারীগণ সাধারণ রোগিদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোতে কোনো চিকিৎসক নেই। বর্তমানে সেখানে একজন স্বাস্থ্য সহকারী, ওষুধ প্রদানকারী ও একজন পিয়নের মাধ্যমে চলছে নামমাত্র স্বাস্থ্য সেবার কার্যক্রম। কেন্দ্র গুলোতে দীর্ঘদিন যাবত নেই কোনো চিকিৎসক। স্বাস্থ্য সেবা নিতে দীর্ঘ লাইন দাড়িয়ে রয়েছেন সাধারন রোগীরা। এর মধ্যে নারী ও শিশু রোগীর সংখ্যা বেশী।

জিউপাড়া ইউনিয়নের দাশমাড়িয়া উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা হাফিজা বেওয়া (৬৫) বলেন, বয়ষের ভারে গত কয়েকদিন থেকে শরীরটা ভালো যাচ্ছে না। যার কারণে কয়েকদিন থেকে চিকিৎসা নিতে এখানে আসি। কিন্তু বড় ডাক্তার না থাকায় এখানে আমার চিকিৎসা হবে না বলে জানিয়ে দিচ্ছেন। তারা আমাকে পুঠিয়া সদরে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য বলছে। আগে এখানে বড় ডাক্তার ছিল। তখন আমরা ভালো চিকিৎসা ও ওষুধ পেতাম।

শিলমাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন মুকুল বলেন, গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার নিরলস ভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু চিকিৎসকের অভাবে দীর্ঘ দিন যাবত আমাদের প্রত্যন্ত অঞ্চল এলাকায় অতি দরিদ্র জনগোষ্টির স্বাস্থ্য সেবা প্রায় ভেঙ্গে পড়েছে। এই বিষয় গুলো ওপর মহলে জানানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ডাক্তারা গ্রামে থাকতে চায় না। একজন চিকিৎসক আসলেও অল্প দিনের মধ্যে শহরমূখী হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে উপজেরা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নাজমা আক্তার উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, দীর্ঘদিন ওই কেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসক ছিলেন না। সেখানে কয়েক মাস আগে চিকিৎসক পাঠানো হয়েছিল। বর্তমানে করোনাভাইরাসের কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসকরা জেলা হাসপাতালে গেছেন। আর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র চিকিৎসকরা উপজেলায় কাজ করছেন। তবে ওইখানে বর্তমানে প্রাথমিক সেবা দেয়া হচ্ছে। আর চিকিৎসা বিষয়ে কোনো সমস্যা দেখা দিলে আমরা মুঠোফোনের মাধ্যমে তা সমাধান করছি।


Exit mobile version