পুঠিয়ায় ফ্রন্টডেস্ক নির্মাণে দুর্নীতি, নতুন দাবি ৫ লাখ!


আবু হাসাদ. পুঠিয়াঃ

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের সামনে ফ্রন্টডেস্ক নির্মাণে কাজ অর্থ সংকট দেখিয়ে প্রায় বছরেও শেষ হয়নি। ইতিমধ্যে দু’দফায় অতিরিক্ত চার লাখ টাকা বারাদ্দ বাড়িয়েও কাজ শেষ হয়নি। অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারের নিকট থেকে মোটা অংকের কমিশন নেয়ায় নিধারিত বরাদ্দে কাজ শেষ করতে পারেনি। সরকারী রাজস্ব ব্যয়ে ফ্রন্টডেস্ক নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনায় খোদ পরিষদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাঝে চলছে নানা গুঞ্জণ।

উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৬-১৭ ইং অর্থ বছরে উপজেলা পরিষদের সামনে পুরাতন একটি টিনসেট ঘর সংস্কার করে ফ্রন্টডেস্ক নির্মাণ কাজ হাতে নেয়া হয়। এতে প্রাথমিক ভাবে রাজস্ব খাত থেকে ব্যয় ধরা হয় ১০ লাখ টাকা। সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুজ্জামান কোনো প্রকার টেন্ডার ছাড়াই তার মতদর্শী স্থানীয় ঠিকাদার লালন নামে এক ব্যাক্তিকে দিয়ে কোটেশনের মাধমে কাজ শুরু করেন।

কিন্তু সে সময় সাবেক উপজেলা প্রকৌশলী জহুরুল ইসলামের গাফলতির কারণে কাজের অর্ধেক না হতেই বরাদ্দের টাকা শেষ হয়ে যায় বলে কাজ থেমে যায়। পরে ওই প্রকৌশলী আবারো দুটি প্রকল্প দেখিয়ে রাজস্ব খাত থেকে দু’দফায় আরো চার লাখ টাকা বরাদ্দ বাড়িয়ে নেন। কিন্তু চুক্তির কাজ ৩৫ শতাংশ বাকি রেখে খাতা-কলমে বরাদ্দের সকল টাকা ঠিকাদারকে পরিশোধ দেখান তিনি। এরপর সাবেক অপর নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা নাহারের সময় ওই কাজ পুরোপুরি শেষ করতে আরো প্রায় পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়ার মৌখিক একটি প্রস্তাব করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পরিষদের একজন উপসহকারী প্রকৌশলী বলেন, ডিজাইন মোতাবেক ১০ লাখ টাকায় ওই পুরো কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু ওই ঠিকাদার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা ও সাবেক প্রকৌশলীকে বিশেষ সুবিধা দিতেই প্রায় ৮ লাখ টাকা শেষ হয়ে গেছে। বাকি টাকা দিয়ে যা কাজ হওয়ার কথা তাই হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন কাজে অনিয়ম দেখা দেয়ায় সাবেক প্রকৌশলী জহুরুল ইসলামকে বদলী করা হয়। এরপর থেকে কাজ সম্পন্ন বন্ধ রয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বরাদ্দের অর্থ শেষ হওয়ার কারণে নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ফ্রন্টডেস্কটি সম্পন্ন নির্মাণ কাজ শেষ করতে নতুন ভাবে মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হীরা বাচ্চু বলেন, আমি পরিষদে আসার পর থেকে দেখছি ফ্রন্টডেস্ক নির্মাণ কাজ বন্ধ পড়ে আছে। এ বিষয় নিয়ে আমি ইতিমধ্যে বিভিন্ন দপ্তরে কথা বলেছি। আশা করা যায় বরাদ্দ আসলেই অল্প কিছু দিনের মধ্যে কাজ শেষ হবে।


শর্টলিংকঃ