পুঠিয়ায় বাগান জুড়ে আমের কুঁড়ি, বাম্পার ফলনের আশা


আবু হাসাদ, পুঠিয়া:
রাজশাহীর পুঠিয়ায় চলতি বছর স্থানীয় চাষিদের সঠিক তদারকি করায় আম বাগান গুলোতে ব্যাপক হারে কুঁড়ি এসেছে। তারা আশা করছেন অনুকুল আবহাওয়া বিরাজ করলে গত বছরের চেয়ে এ বছর আমের বাম্পার ফলন হবে।


উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, পুঠিয়া উপজেলায় নতুন ও পুরাতন মিলে প্রায় সাড়ে ৮শ’ হেক্টোর জমিতে আম বাগান রয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ২০ হেক্টোর বেশী জমি। বৈরি আবহাওয়ার কারণে গত মৌসুমে এই এলাকায় আমের উৎপাদন লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল সাড়ে ৪ হাজার মে. টন। এবং উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৪ হাজার মে. টন আম। এ বছর বেশীর ভাগ বাগান গুলোতে আমের মুকুল ্এসেছে। চাষিদের সঠিক সময়ে তদারকি থাকায় আমের কুড়িও ধরেছে অনেক বেশী। তবে অনুকুল আবহাওয়া বিরাজ করলে প্রায় ৭ হাজার মে. টন আম উৎপাদন সম্ভব।

উপজেলা বিভিন্ন আম বাগান ঘুরে দেখা গেছে, বিগত বছরের তুলনায় এ বছর আমের রেকর্ড পরিমান কুড়ি এসেছে। এর মধ্যে লখনা, আম্রপলি, খেসাপাত ও ল্যাংড়া জাতীয় আমের কুড়ি বেশী দেখা যাচ্ছে। এছাড়া ফজলি, আশ্বনী, গোপালভোগ, দুধস্বর, কালুয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতি আম গাছ জুড়েও রয়েছে অনেক কুড়ি।


উপজেলার শাহবাজপুর এলাকার আম চাষী রফিকুল ইসলাম বলেন, চাষিরা সময়মত তদারকি করায় বিগত বছরের চেয়ে এবার বাগান গুলোতে বেশী পরিমান আমের কুড়ি এসেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ নেমে না আসলে আমের বাম্পার ফলন হবে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসে পরামর্শ নিতে আসা বিড়ালদহ এলাকার আমচাষি সমেজ উদ্দীন বলেন, বেশীর ভাগ আম বাগান গুলোতে পরিচর্যা না করায় প্রতিবছর পর্যাপ্ত আম আসে না। আর সঠিক নিয়মে পুরিচর্যা করা বাগান গুলোতে প্রতিবছরই আম ধরে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামসুনাহার ভূঁইয়া বলেন, চাষিরা আগের চেয়ে এখন অনেক বেশী সচেতন। তারা মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পরামর্শে গত বছর আম ভাঙ্গার পর থেকে বাগান গুলোতে সঠিক সময় পরিচর্যা করেছেন। এতে করে ওই বাগান গুলোতে মুকুল ও আমের কুড়ির পরিমান অনেক বেশী। আশা করা হচ্ছে অনুকুল আবহাওয়া বিরাজ করলে গত বছরের চেয়ে বাম্পার ফলন হবে।


শর্টলিংকঃ