পুঠিয়ায় বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি


পুঠিয়া প্রতিনিধি:
রাজশাহীর পুঠিয়ায় গত তিনদিনের দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় উঠতি রোপা-আমন ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও দমকা হাওয়ার করণে বেশীর ভাগ পাঁকা-আধাপাকা ধান পানির নিচে পড়ে আছে।

স্থানীয় কৃষকরা বলেন, দূর্যোগের কারণে শেষ মুহুর্তে ধানের ফলন প্রায় অধেক কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে কি পরিমান ধানের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারেননি কৃষি বিভাগ।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলা ৬টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় মোট ৫ হাজার ৮৮০ হেক্টোর জমিতে রোপা-আমন চাষ করা হয়েছে। আর রোগ-বালাইমুক্ত অনুকুল আবহাওয়া বিরাজ করলে উৎপাদন লক্ষমাত্রা নিধারণ করা হয়েছে ২৬ হাজার ৪৬০ মে.টন ধান। তবে শেষ মুর্হুতে দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সে লক্ষমাত্রা পুরোন হবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ করিম বলেন, এই মুহুর্তে অধিংশ জমির ধান প্রায় পাঁকা রং ধরেছে। আর ধান পেঁকে গেলে গাছের গোড়া স্বাভাবিক ভাবে নরম ও ধানের শীষের কারণে মাথা ভারি হয়ে যায়। তার উপর বৃষ্টি ও সাথে বাতাস হওয়ায় কিছু জমিতে ধান পড়ে গেছে। তবে এই মুহুর্তে জমির পানি বের করে দিতে আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। আর নিচু জমি গুলোতে যে ধান পানির নিচে আছে তার ফলন কিছু কম হতে পারে।

জিউপাড়া এলাকার কৃষক মোজাহার আলী বলেন, এ বছর দাম কম থাকায় মাত্র চার বিঘা জমিতে ধান রোপন করেছি। ধান ক্ষেত প্রায় পেঁকে গেছে কিন্তু শেষ মুহুর্তে গত তিন দিনের বৃষ্টিতে দু’বিঘা জমির ধান পড়ে পানির নিচে চলে গেছে। যার কারণে এবার ধানের ফলন প্রায় অর্ধেকেরও কম হবে।

এ ব্যপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম মন্জুরে মাওলা বলেন, গত দু’দিন ছুটি থাকার কারণে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় উঠতি ধানের কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার সঠিক কোনো তথ্য এই মুহুর্তে নেই। তবে আজকে উপসহকারী কর্মকর্তা মাঠে নেমেছেন। আশা করা যায় বিকেলের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান সঠিক পাওয়া যাবে।


শর্টলিংকঃ