পুঠিয়ায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে একাধিক কিশোর গ্রুপ


পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি:
রাজশাহীর পুঠিয়া-রাজবাড়ী এলাকায় রাজনৈতিক নেতাদের ছত্র- ছায়ায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে একাধিক কিশোর গ্রুপ। পুলিশ দু’দফা ওই গ্রুপের সদস্যদের দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্রসহ আটকের পরও বিশেষ সমঝোতায় তাদের ছেড়ে দিচ্ছেন বলে এলাকাবাসীরা অভিযোগ তুলেছেন। যার ফলে যে কোনো মুহুর্তে ওই এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন অনেকই।


থানার একটি সূত্র জানায়, গত ২৩ জুলাইল বিকেলে বাজার কেন্দ্রীয় ঈদ মাঠের পাশে পুঠিয়া-নন্দনগাছি সড়কে তল্লাসী চালায় থানা পুলিশ। সে সময় বাজার এলাকার একটি কিশোর গ্রুপের চারজন সদস্যকে চাকুসহ আটক করেন পুলিশ। আটকের ৮ ঘন্টা পর ক্ষমতাসিন দলের স্থানীয় দু’জন র্শীষ নেতা তাদের ছাড়িয়ে নেয়। এরপর গত ১ সেপ্টেম্বর বাজার এলাকায় দু’কিশোর গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিলে পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্রসহ ৫ জনকে আটক করেন।

পরে আটকের ২৮ ঘন্টা পর থানার মধ্যে পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতাদের সমঝোতায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসীরা বলেন, এক সময় বাসু গ্রুপের লোকজন রাজবাড়ী-বাজার এলাকাসহ আসে পাশের এলাকা গুলোতে ব্যাপক তান্ডব চালাতো। বিগত দিনে রাজনৈতিক প্রেক্ষপট ও পুলিশ- প্রশাসনের তদারকির কারণে বাসু গ্রুপের বিলপ্তি ঘটে।

কিন্তু ওই গ্রুপের র্শীষ কয়েকজন সদস্য স্থানীয় কিশোরদের একাধিক গ্রুপে বিভক্ত করে রেখেছে। তাদের মধ্যে একটি মহল রাজনৈতিক ছত্র-ছায়ায় আবারো পুরনো সেই বাসু গ্রুপকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছে। এলাকায় একক প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’টি কিশোর গ্রুপ সক্রীয় হয়ে উঠেছে। ওই গ্রুপের সদস্যরা
গত প্রায় একমাসে দেশীয় অস্ত্রসহ দু’বার আটক করেছেন পুলিশ।

কিন্তু রাজনৈতিক ওই মহলটি পুলিশের সাথে সমঝোতা করায় দু’বারই থানা থেকে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। অস্ত্রসহ আটকের পরও থানা থেকে ছেড়ে দেয়ায় ওই কিশোররা আরোব্যাপরোয়া হয়ে উঠছে। এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাকিল উদ্দীন আহম্মেদ বলেন, উভয়পক্ষ থানায় বসে তাদের অভ্যান্তরিক বিষয়টি আপোষ করেছেন।

যার কারণে আককৃতদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া ওই ঘটনার বাদী কেও ছিল না। কিশ্ধোসঢ়;ররা যেনো কোনো অপ্রতিকর ঘটনা না ঘটায় সে জন্য আমরা তাদের নজরদারীতে রাখবো। আর হাতে-নাতে অস্ত্রসহ আটকের পরও কিভাবে ছেড়ে দেয়া হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এরিয়ে যান।


শর্টলিংকঃ