পুঠিয়ায় মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ পৌরবাসী


পুঠিয়া প্রতিনিধি:

রাজশাহীর পুঠিয়ায় শীত শেষ হতে না হতেই পৌরসভা এলাকায় মাত্রারিক্ত মশার উপদ্রব বেড়েছে। এতে সাধারণ মানুষ মশার কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। অভিযোগ উঠেছে প্রতিবছর মশা নিধনের জন্য মোটা অংকের বরাদ্দ হলেও পৌরবাসী তার কোনো সুবিধা পাচ্ছেন না।

পুঠিয়ায় মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ পৌরবাসী

বিগত বছরের চেয়ে এবার মাত্রারিক্ত মশার উপস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু আতংকে ভুগছেন অনেকেই।
জানাগেছে, গত ২০০১ সালে পুঠিয়া সদর ও জিউপাড়া ইউনিয়নের অংশ বিশেষ নিয়ে গঠিত হয় পুঠিয়া পৌরসভা। গত প্রায় ১৭ বছর পূর্বে পৌরসভা প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকা ব্যয়ে দু’টি মশা নিধন যন্ত্র ক্রয় করেছিল। ক্রয়ের পর থেকে সে যন্ত্রের কোনো ব্যবহার না থাকায় তা অযত্নে-অবহেলায় গুদাম ঘরে পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে যায়। এরপর গত বছর ডেঙ্গুর প্রভাব বেড়ে গেলে পৌরসভায় মশা নিধনের জন্য সরকারী ভাবে দু’টি ফর্গার দেয় হয়।

পৌরবাসী আরিফুল ইসলাম বলেন, মাঝে মধ্যে থানা, হাসপাতাল, পুঠিয়া সদর ও সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে ফটোসেশন করতে হটাৎ মশা নিধন কার্যক্রম দেখা যায়। এ যাবত পর্যন্ত আবাসিক এলাকায় কখনও মশা মারার কার্যক্রম চালায়নি পৌরসভা। ফলে মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন পৌরবাসী।পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার রহিম কনক বলেন, চলতি বছর পুঠিয়া রাজবাড়ী এলাকায় মাত্র একদিন ফগার মেশিনের মাধ্যমে মশা নিধন কার্যক্রম চালিয়েছে পৌরসভা। এই কার্যক্রম নিয়মিত না করলে মশা নিধন করা কখনোই সম্ভব হবে না।

এদিকে ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহাদত হোসেন বলেন, গত বছর মশা নিধন কার্যক্রম চললেও এবার এখনো শুরু হয়নি। তবে কবে থেকে শুরু হবে তা আমার জানা নেই। তবে ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইসমাইল হোসেন বলেন, মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় গতকাল আমার ওয়ার্ডে মশা নিধন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।এ ব্যাপারে পৌরসভা মেয়র রবিউল ইসলাম রবি বলেন, মশা নিধন কার্যক্রম আমাদের ধারাবাহিক ভাবে চলছে। এই পৌরসভায় মাত্র দু’টি ফগার মেশিন রয়েছে। যার করণে সব এলাকায় একযোগে নিয়মিত মশা নিধন কাজ চালানো সম্ভব হচ্ছে না।


শর্টলিংকঃ