Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

পুঠিয়ায় ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধের ছড়াছড়ি


আবু হাসাদ কামাল, পুঠিয়া :

কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গড়ে রাজশাহীর পুঠিয়ার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠছে ফার্মেসি।  যেগুলোর বেশীর ভাগেই মেয়াদোত্তীর্ণ ও নিম্নমানের ওষুধ বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এসব ফর্মেসির অধিকাংশেরই বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। এতে করে একদিকে যেমন ভোক্তারা প্রতারিত হচ্ছে, তেমনি প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।

ঔষধ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ কেমিষ্টস এন্ড ড্রাগিষ্টস সমিতির রাজশাহী জেলা শাখার অনুমোদন নিয়ে উপজেলাজুড়ে দুই শতাধিক ফার্মেসি গড়ে উঠেছে। যার বেশির ভাগ ফামের্সী গুলোতে সরকারি নিয়ম অনুযায়ি বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই।

ওষুধ ব্যবসায়ী সংশ্লিষ্টরা জানান, নিয়ম অনুসারে একটি ঔষুধের দোকান করতে হলে প্রথমে স্থান, পরিবেশ ও ঘরের পরিমাপ নির্ণেয় করতে হবে। এরপর স্থানীয় এলাকার ট্রেড-লাইসেন্স করতে হবে। যিনি ব্যবসা পরিচালনা করবেন তার ফার্মাষ্টি লাইসেন্স থাকতে হবে। এছাড়া ব্যবসা পরিচালনা করতে করের টিআর নম্বার ও নিজ জেলার বাংলাদেশ কেমিষ্টস ড্রাগিষ্টস সমিতির অনুমোদন প্রয়োজন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা সদরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের মোড় হাট-বাজার ঘিরে উঠেছে দুই শতাধিক ওষুধের দোকান। শত শত মুদি দোকানীরাও স্বল্প পরিসরে ফার্মেসি খুলে বসেছেন। ্এদের বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। ড্রাগ সুপারকে মাঝে মধ্যে উপজেলা সদরে দেখা গেলেও প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোনো খোঁজ খবর রাখেন না। যার কারণে ওই ওষুধ দোকানদারা বাধাহীন ভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ওষুধ ব্যবসায়ী বলেন, আমারা ড্রাগ সমিতি সদস্য হওয়ায় আমাদের কোনো সমস্যা নেই। তবে মাঝে মধ্যে কোনো সমস্যা দেখা দিলে সেটা সমিতি ম্যানেজ করে রাখে। সে জন্য চুক্তি মোতাবেক সমিতির মাধ্যমে ড্রাগ সুপারকে প্রতিমাসে টাকা দিতে হয়।

ড্রাগিষ্ট সমিতির উপজেলা সভাপতি মকলেছুর রহমান রাজু বলেন, ওষুধ ব্যবসায়ীরা নিজের নিয়ন্ত্রণে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করছেন। আমার কাছে অনেক ক্রেতারা অভিযোগ করেন, দোকানদার অতি নিম্নমানের ওষুধ বিক্রি করছে। কিন্তু নিন্মমানের ওষুধ বিক্রির বিষয়টি দেখার দায়িত্ব আমার নয়, সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেখবেন।
ড্রাগিষ্ট সমিতির রাজশাহী জেলা শাখার সদস্য মোশারফ হোসেন বলেন, পুঠিয়া উপজেলায় বর্তমানে নতুন পুরাতন মিলে ৩০টির মতো রাজশাহী জেলা শাখার ড্রাগ লাইসেন্স থাকতে পারে। বাঁকি দোকানগুলো কী ভাবে চলছে তা আমার জানা নেই।

বাংলাদেশ কেমিষ্টস ড্রাগিষ্টস সমিতির রাজশাহী জেলার সহকারি পরিচালক আনোয়ারুল বাছেদ বলেন, আমি একাই রাজশাহী বিভাগের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। লোকবল সংকটের কারণে সঠিকভাবে সব কিছু দেখা আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। সমিতির সঙ্গে আমার কোনো লেনদেন নেই। আমরা সমিতির মাধ্যমে শুধুমাত্র লাইসেন্স দিয়ে থাকি।


Exit mobile version