পুঠিয়ায় রোপা-আমন ধান রোপণে ব্যস্ত চাষিরা


আবু হাসাদ, পুঠিয়া :

রাজশাহীর পুঠিয়ায় রোপা-আমন ধান রোপণ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় চাষিরা। ইতিমধ্যে অধিকাংশ জমি গুলোতে ধান রোপন কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। বাকি জমি গুলো আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রোপন শেষ হবে বলে আশা করছেন কৃষি সম্প্রসারণ অফিস।


উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় মোট ৫ হাজার ৮৭০ হেক্টোর জমিতে উচ্চ ফলনশীল (উপশী) জাতের রোপা-আমন ধান রোপণ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০ হেক্টোর জমিতে স্থানীয় জাতের (কালোজিরা-চিনি আতব) ধান রয়েছে। তবে উপজেলার পৌরসভাসহ চারটি ইউপি এলাকায় রোপা-আমন মৌসুমে বেশী ধান রোপণ করা হয়।

আর মাত্রাতিরিক্ত জলাবদ্ধতার কারণে শিলমাড়িয়া ও ভালুকগাছি ইউনিয়ন ্এলাকায় ধান রোপণ তুলনামূলক অনেক কম হয়। অনুকুল আবহাওয়া বিরাজ করলে চাউল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২১ হাজার ২০০ মে.টন। অপরদিকে গত রোপা-আমন মৌসুমে উপজেলায় মোট ধান রোপণ করা হয় ৫ হাজার ৭৮০ হেক্টোর জমিতে। আর চাউল উৎপাদন হয়েছে ২১ হাজার ৪১ মে.টন।

তারাপুর এলাকার চাষি মজিবুল হোসেন বলেন, বর্তমানে বাজারে ধানের দাম একটু ভালো থাকায় বেশীরভাগ চাষিরা এই মৌসুমে ধান চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তবে এখনো অনেক চাষির জমিতে পাট রয়েছে। তারা পাট কেটে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ওই জমি গুলোতে ধান রোপণ শেষ করবেন।

পৌরসভা এলাকার চাষি নুরুল ইসলাম বলেন, এবার নিজের তিন বিঘা জমির পাশাপাশি লিজ হিসাবে আরো দু’বিঘা জমিতে ধান রোপণের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে অতিরিক্ত টাকা দিয়েও শ্রমিক সংকটের কারণে রোপণ কাজ বিলম্ব হচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামসুনাহার ভূইয়া বলেন, বাজারে ধানের মূল্য ভালো পাওয়ায় কৃষকরা গত বছরের তুলনায় এ বছর একটু বেশী আগ্রহী হয়েছেন। আর মাঠ পর্যায়ে সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সার্বক্ষনিক তদারকি ও চাষীদের হাতে কলমে প্রশিক্ষন দেয়া হচ্ছে। তবে অনুকুল আবহাওয়া বিরাজ করলে এবার ধানের ভালো ফল হবে বলে আশা করা হচ্ছে।


শর্টলিংকঃ