পুঠিয়ায় স্কুল ভবন নির্মাণের নামে ১৮ লাখ টাকা লুটপাট


পুঠিয়া প্রতিনিধি:

রাজশাহীর পুঠিয়ায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে শ্রেণী কক্ষ নির্মাণের নামে প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে। গত তিন বছর যাবত ওই ভবনটি নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে।

স্কুল সূত্রে জানা গেছে, বিরালদহ সৈয়দ করম আলী শাহ্ উচ্চ বিদ্যালয়ে শ্রেণী কক্ষের সংকট দীর্ঘ দিনের। সংকট নিরসনে গত ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে তিন রুমের একটি ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। আর ওই কাজে দু’দফায় প্রায় ২২ লক্ষ টাকার বিশেষ বরাদ্দ নেয়া হয়। কিন্তু স্কুলের সাবেক সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক কোনো প্রকার টেন্ডার না দিয়েই নিজেরাই ওই কাজ শুরু করেছিলেন।

তারা ভবনের মাত্র চার দেয়ালের কাজ দেখিয়ে পুরো বরাদ্দ শেষ বলে কাজ বন্ধ রেখেছেন। যা গত তিন বছর যাবত ভবনটি নির্মানাধীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ফলে দিনে দিনে নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় ভবনের অবকাঠামো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই স্কুলের একজন সহকারী শিক্ষক বলেন, গত তিন বছর আগে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষের পশ্চিম পার্শে তিন রুম বিশিষ্ট একটি শ্রেণী কক্ষ নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

আর কাজটি করে স্কুলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাংসদ আব্দুল ওয়াদুদ দারার ভাই কাজী শরীফ। আর ওই কাজ করতে সাংসদের সুপারিশে দু’দফায় প্রায় ২২ লক্ষ টাকা বিশেষ বরাদ্দ নেয়া হয়। এরপর চলে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি মিলে চলে লুটপাটের মহা উৎসব। ওই শিক্ষক আরো বলেন, ওই ভবন নির্মাণ কাজে মাত্র সাড়ে তিন লক্ষ টাকা খরচ করে বাকি অর্থ তারা আত্নসাত করেছেন।

সম্প্রতি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ওই ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ করতে আরো বরাদ্দ চেয়ে বর্তমান সাংসদের নিকট আবারো আবেদন করেছেন। এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক কোরবান আলী বলেন, গত ৫ বছর আগে আমি এই স্কুলে যোগদান করেছি। আর এই শ্রেণী কক্ষ গুলো নির্মাণ কাজ শুরু হয় গত ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে। তবে ওই ভবন নির্মাণে কোন খাতে কত বরাদ্দ ছিল তা আমার জানা নেই! তবে স্কুলের সাবেক সভাপতি কাজী শরীফ এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারবেন।

স্কুলের সাবেক সভাপতি কাজী শরিফ বলেন, ওই ভবন কখন আর কিভাবে নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে তা আমি কিছুই জানি না। আর আমি কোনো অনিয়মের সাথে জড়িত নেই। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বর্তমানে ওই স্কুলের সভাপতি ওলিউজ্জামান বলেন, নির্মাণাধীন ওই ভবনটি গত কয়েক বছর আগের। আর ওই ভবন নির্মাণে কোন খাতের কত টাকা বরাদ্দ ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


শর্টলিংকঃ