Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

পুঠিয়ায় ১৭টি প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টার প্রস্তুত


আবু হাসাদ, পুঠিয়া:

সারাদেশের ন্যায় করোনার প্রভাব পড়েছে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলায়। চলতি সপ্তাহে উপজেলা সদরের আশেপাশে দু’টি স্থানে নারায়নগঞ্জ থেকে আসা পোশাক শ্রমিক দু’জন করোনা রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকা জুড়ে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টার হিসাবে প্রস্তুত করে হয়েছে।

জানাগেছে, দেশে করোনার প্রভাব বিস্তার করায় মার্চ মাসের শেষের দিকে রাজশাহী জেলায় পণ্যবাহী ট্রাক বাদে সকল প্রকার যানবাহনের পাশাপাশি লোকজন আসা যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে ঢাকা-নারায়নগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থানরত রাজশাহী জেলার লোকজন কিছু অসাধু ট্রাক চালকদের অর্থের বিনিময় ম্যানেজ করছেন। পরে তারা রাতের আধারে ট্রাকে চড়ে এলাকায় আসছেন।

এদের মধ্যে বেশিরভাগ চারঘাট, বাঘা, দুর্গাপুর, বাগমারা ও পুঠিয়ার লোকজন। তারা রাতেই এই উপজেলার ঢাকা-রাজশাহী ২৭ কিলোমিটার মহাসড়কের সুবিধাজনক স্থানে নেমে অতি গোপনে বাড়ি ফিরছেন। পরের দিন তারা এলাকায় হাট-বাজার ও লোকসমাজে প্রকাশ্য ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ইতিমধ্যে জেলার প্রথম করোনা রোগী হিসাবে চিহ্নিত হয় পুঠিয়া-বগুড়াপাড়া গ্রামে।

এর একদিন পর আরো একজন করোনা রোগী সনাক্ত হয় গন্ডগোহালি গ্রামে। তারা দু’জনই নারায়নগঞ্জ এলাকায় পোশাক শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন। সম্প্রতি তারা মাছবাহী ট্রাকে চড়ে বাড়ি ফিরেছেন। বাহির থেকে এসে কোয়ারোন্টন না মানায় গত দু’দিন আগে উপজেলার ফুলবাড়িয়া গ্রামে অভিযান চালান রাজশাহী জেলা প্রশাসক হামিদুল হক। সেখানে নারায়নগঞ্জ এলাকা থেকে আসা এক পোষাক শ্রমিককে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানোর কারণে তাকে ৬ মাসের সাজা দিয়ে জেল-হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আইন অমান্যকারীদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টার প্রস্তুত করেছেন উপজেলা প্রশাসন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওলিউজ্জামান বলেন, করোনার প্রভাব রোধে গত চারদিন আগে রাজশাহী জেলাকে লকডাউন ঘোষনা করা হয়। সেই সাথে সকলকে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে ঘোরাফেরায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। অনেকই বিভিন্ন জেলা থেকে এসে হোম কোয়ারেন্টিন না মেনে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যার কারেণে ইতিমধ্যে উপজেলার ১৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১২৮টি কক্ষ আমরা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন হিসাবে প্রস্তুত রেখেছি। যারা আইন অমান্য করবেন তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে।


Exit mobile version