Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

পুঠিয়া পৌরসভা নির্বাচন প্রতিশ্রুতি নেই কোনো মেয়র প্রার্থীর


আবু হাসাদ, পুঠিয়া :

আগামী ২৮ ডিসেম্বর রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। গত পৌরসভা নির্বাচনে এলাকায় প্রার্থীরা বিভিন্ন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইস্তেহার ঘোষনা করেছিলেন। এদিকে ভোট গ্রহণের বাকি আছে মাত্র ৬দিন। এখনো পর্যন্ত আ’লীগ মনোনিত মেয়র প্রার্থী রবিউল ইসলাম রবি, বিএনপি মনোনিত প্রার্থী আল মামুন খান ও একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম আজম নয়ন এলাকার উন্নয়ন মূলক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বা ইস্তেহার ঘোষনা করেননি।

সাধারণ ভোটাদের অভিযোগ মহিলা ও সাধারণ কাউন্সিলরগণ মাঝে মধ্যে তাদের প্রচারণা করলেও মেয়র প্রার্থীরা এবার ভোট চাইতে মাঠে নেই বললেই চলে। প্রার্থীরা ভাড়া লোকজন দিয়ে ভোটের প্রচারণার মাঠ চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করছেন।

পৌরবাসী আশাদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনী তফসিল ঘোষনার পর সম্ভব্য মেয়র প্রার্থী ও দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ ভোটারদের মাঝে এক রকম উৎসবের আমেজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু একক প্রার্থী ঘোষনার পর দলের নেতাকর্মীদের মাঝে ভোট উৎসব নিরবতায় রুপ নিয়েছে।

অপরদিকে দলীয় মার্কা পেয়ে আ’লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীরা সাধারণ সকল ভোটারদের কাছে যাচ্ছে না। তারা বিভিন্ন ওয়ার্ডের চিহ্নিত লোকজনকে ম্যানেজ করতে দৌড়ঝাপ করছেন। আর দু’দলের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে দৈনিক মুজুরি হিসাবে ৪ শতাধিক মহিলা ও দু’শতাধিক পুরুষ প্রচারণা চালাচ্ছেন। এতে করে ভোটারদের মাঝে বিরুপ প্রভাব দেখা দিয়েছে।

আমেনা বেগম নামের ৭ নং ওয়ার্ডের একজন ভোটার বলেন, আগে নির্বাচন আসলে প্রার্থী ও ভোটারদের মাঝে উৎসবের আমেজ দেখা যেত। আর এখন পর্যন্ত কোনো মেয়র প্রার্থী আমাদের কাছে ভোট চাইতে আসেননি। তাদের হয়ে ভোট চাইতে এসেছে কিছু ভাড়া করা মহিলা।
এ বিষয়ে আ’লীগ মনোনিত মেয়র প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে আমিসহ দলের নেতাকর্মীরা চরম ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে দিন পার করছি। আমি নির্বাচিত হলে আগামীতে পৌরসভা এলাকায় যে সকল সমস্যা এখনো আছে তা আগে সমাধান করা হবে। এছাড়া পৌর এলাকায় কয়েকটি বড় প্রকল্পের কাজ করা হবে। এ বিষয়ে আজ অথবা আগামীকালের মধ্যে একটি রুপরেখা বা নির্বাচনী ইস্তেহার আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষনা করা হবে।

বিএনপির মনোনিত দলীয় মেয়র প্রার্থী ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, বিএনপি জনগণকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতির বুলি দেয় না। আমি নির্বাচিত হতে পারলে জনগণের কল্যাণে সার্বক্ষনিক কাজ করবো। এ জন্য ইস্তেহারের প্রয়োজন নেই।

উল্লেখ্য, গত ২২ নভেম্বর প্রথম ধাপে পুঠিয়া পৌরসভার নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করেন নির্বাচন কমিশন। সে মোতাবেক আগামী ২৮ ডিসেম্বর। এদিকে পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৩ জন প্রার্থী। সংরক্ষতি মহিলা কাউন্সিলর পদে ৮ জন ও কাউন্সিলর পদে মোট ৩৬ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। এবার পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১৬ হাজার ৬৩৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ১৬০ জন ও মহিলা ভোটার ৮ হাজার ৪৭৩ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ৯টি ও ৪৮ টি বুথে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হবে।

 


Exit mobile version