Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

পুঠিয়া স্টেডিয়াম মাঠ দু’যুগ থেকে অ-ঘোষিত পরিত্যক্ত


আবু হাসাদ,কামাল, পুঠিয়া:
রাজশাহীর পুঠিয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারীর অবহেলা-অযত্নে একমাত্র স্টেডিয়াম মাঠটি প্রায় দু’যুগ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। স্টেডিয়াম মাঠ থাকা সত্ত্বেও সকল প্রকার ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে পিএন সরকারী হাই স্কুল মাঠে। মাঠের চারপাশে ঝোপঝাড় আর খানাখন্দে ভরে গেছে। এখন মাঠে দিনের বেলায় গরু-ছাগল চড়ে, রাতে মাদকের আড্ডা। এলাকাবাসীদের দাবী মাঠটি পুণঃসংস্কার করে আবারো খেলাধুলার পরিবেশ গড়ে তোলার।


উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৩ ইং সালে প্রায় সাড়ে ৫ একর জমির উপর পুঠিয়ার একমাত্র স্টেডিয়াম মাঠটি নির্মিত হয়। সে সময় তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম হাবিবুলাহ মাঠটি আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন। এরপর থেকে পুরিয়াসহ ও নিকটবর্তী উপজেলার বিভিন্ন খেলাধুলা গুলো এই স্টেডিয়াম মাঠে অনুষ্ঠিত হতো।

স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাব এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরদারীর অভাবে প্রায় দুই যুগ থেকে মাঠটি অ-ঘোষিত পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। বর্তমানে মাঠের দুই প্রান্তে প্রবেশদ্বারে লোহার গেইট, ভবনের দরজা-জানালা এবং আসবাবপত্র কিছুই নেই। জরাজীর্ণ ভবনটি এখন মাদক ব্যবসায়ীদের দখলে। অনেকেই বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙ্গে তৈরি করেছে বাড়ীতে যাতায়াতের নিজস্ব গেইট।

সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় জিতেন রবিদাস বলেন, এখন কোনও খেলাধুলার আয়োজন মানেই একমাত্র ভরসা পুঠিয়া পিএন হাই স্কুল ও রাজবাড়ী মাঠ। অথচ পুঠিয়া সদর এলাকায় একটি স্টেডিয়াম মাঠ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। বর্তমানে এই স্টেডিয়াম মাঠে খেলাধুলার আয়োজন করার মত কোনও পরিবেশ নেই। আগের দিনে এই স্টেডিয়াম মাঠে বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন করো হতো।

স্থানীয়সহ বহিরাগত ছেলে-মেয়েরা এখানে খেলতে এসে উৎসবে মেতে উঠতও। সে সময় এই মাঠে খেলায় সুযোগ না পেয়ে অনেক খেলোয়াড়রা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতো। কর্তৃপক্ষের নজরদারীর অভাবে পর্যায়ক্রমে মাঠটি অযত্নে-অবহেলায় পরিত্যক্ত হয়ে সন্ত্রাসীদের আড্ডাখানায় বনে গেছে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছত্র-ছায়ায় এখন স্কুল-কলেজের ছাত্র এবং যুব সমাজ খেলাধুলার পরিবর্তে ক্রমেই বিপথগামী হচ্ছে। মাঠটি সংস্কার করলে আবারো এই স্টেডিয়ামের প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে।

উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হীরা বাচ্চু বলেন, স্টেডিয়াম মাঠ থাকা সর্তেও আমাদের একমাত্র ভরসা এখন পিএন স্কুলের মাঠ। স্টেডিয়াম মাঠটি সংস্কারের অভাবে পরিত্যক্ত হওয়ায় সেখানে অসামাজিক কাজ হয় এটা আমি শুনেছি। মাঠটি আরো বড় পরিসরে সংস্কার কারার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে অবহিত করা হয়েছে। আগামী দিনে স্টেডিয়াম মাঠটি সংস্কার করে বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন সেখানেই করা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ওলিউজ্জামান বলেন, আমি এই উপজেলায় আসার পর স্টেডিয়াম মাঠে গিয়েছি। কেবলমাত্র সংস্কারের অভাবে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সরকার সারা দেশে বিভিন্ন স্থানে মিনি স্টেডিয়াম করার যে পরিকল্পনা করেছেন। অচিরেই এই মাঠটি শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নামকরণ করে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।


Exit mobile version