Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

পুঠিয়ায় ৩৫০ শিক্ষার্থীর পাঠদান করান ২ জন শিক্ষক


আবু হাসাদ কামাল, পুঠিয়া:

পুঠিয়া ঝলমলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই সাথে একই স্থানে পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয়েরও পাঠদান কার্যক্রম চলছে। শুরু থেকে প্রাথমিকের সকল বিষয়ে শিক্ষক থাকলেও বর্তমানে পাঠদানের জন্য শিক্ষিকা রয়েছেন মাত্র দু’জন। আর, ১ম থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থী আছে প্রায় সাড়ে তিনশ’জন। সংশ্লিঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও অভিভাবকদের আশঙ্কা কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক শাখার শিক্ষক সংকট নিরসন না করলে যেকোনো সময় প্রাথমিকের পাঠদান বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

পুঠিয়ায় ৩৫০ শিক্ষার্থীর পাঠদান করান ২ জন শিক্ষক

স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আবু বাক্কার বলেন, স্কুল প্রতিষ্ঠার পর মাধ্যমিকের পাশাপাশি প্রাথমিক শাখা চালু করা হয়। তৎকালিন সময় প্রতিষ্ঠান দু’টি এমপিও ভূক্তি হয়। গত দু’বছর পূর্বে সারা দেশে ২৬ হাজার ২০০ বে-প্রাথমিক প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয় করণ করা হলেও এই প্রতিষ্ঠানটির নাম তালিকা ভূক্ত হয়নি এখনো। এখানে শুরু থেকে প্রাথমিকে শিক্ষক পরিপূর্ণ থাকলেও গত কয়েক বছরে বেশীর ভাগ শিক্ষক অবসরে চলে গেছেন।

কেন এ অবস্থা ?

সর্বশেষ, গত আগষ্ট মাসে একজন শিক্ষক অবসরে যাওয়ায় বর্তমানে প্রাথমিক শাখায় মাত্র দু’জন শিক্ষিকা পাঠদানের দ্বায়িত্বে রয়েছেন। শিক্ষক সংকটের কারণে স্কুল কর্তৃপক্ষ খন্ডকালিন শিক্ষকের পাশাপাশি মাধ্যমিকের শিক্ষক দিয়েও শিক্ষাথীদের পাঠদান করাতে হয়। গত বছর এই বিদ্যালয় থেকে ৫ম শ্রেণীতে সমাপনী পরীক্ষার্থী ছিলো ৮৩ জন। ৫টি জিপিএ-সহ পাশের হার সন্তষজনক। এ বছর ৫ম শ্রেণীতে শিক্ষার্থী রয়েছে ১০৭ জন। ১ম শ্রেণী থেকে ৪থ শ্রেণী পর্যন্ত আরো শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় ২৩৫ জন।

প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন বারকি বলেন, প্রাথমিকে মেয়দ শেষ হওয়ায় শিক্ষকরা একে অবসরে চলে যাচ্ছেন। আর দিনদিন পাঠদানে চরম শিক্ষক সংকট দেখা দিচ্ছে। শিক্ষক সংকটের কারণে বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের দিয়ে পাঠদান করানো হচ্ছে। আবার কখনো মাধ্যমিকের শিক্ষক দিয়ে প্রাথমিক শাখার শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হয়। এই বিষয়টি কয়েকবার কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু, শিক্ষক সংকট নিরসনে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। এমন অবস্থা চলতে থাকলে এক সময় প্রাথমিক শাখা বন্ধ করা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় থাকবে না।

এ ব্যাপারে পুঠিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ মামুনুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আরও পড়ুন  ৩০ বছর ধরে পায়ে হেঁটে ডিম বিক্রি করছেন তিনি


Exit mobile version