পুত্রবধূর অত্যাচারে শাশুড়ির মরদেহ কবর থেকে তুলে অন্যত্রে দাফন


ইউএনভি ডেস্ক:

নেত্রকোনা সদরে পুত্রবধূর কারণে কবর থেকে এক শাশুড়ির মরদেহ তুলে অন্যত্রে সরিয়ে নিয়েছে একটি পরিবার। সারাক্ষণ পুত্রবধূর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ আর অত্যাচারে শেষ পর্যন্ত মরদেহ সরাতে বাধ্য হন তারা।অভিযুক্ত পুত্রবধূ হলেন- হাইলোড়া গ্রামের মঞ্জুরুল হকের স্ত্রী সাবেক গার্মেন্টস কর্মী রীনা আক্তার।

এর আগে বাড়িতে পুত্রবধূর তুলকালামে কোনো উপায় না পেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মরদেহটি কবর থেকে তুলতে বাধ্য হন পরিবারের সদস্যরা। পরে প্রায় আধা কিলোমিটার দূর থেকে মরদেহটি এনে বাড়ির উঠানে নতুন করে দাফন করা হয়। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার দুপুরে রানীর বাড়িঘর ভাঙচুর করে স্থানীয়রা।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. আবুল হাশেম ও কদ্দুস মিয়া জানান, রীনার স্বামীরা পাঁচ ভাই। যৌথ পরিবার হিসেবে বসবাস করছেন তারা। গত পাঁচ মাস আগে তার শাশুড়ি মর্তুজা বেগম হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। ওই সময় পরিবারের সিদ্ধান্ত মতে জালাল উদ্দিনের স্ত্রী মর্তুজাকে পুত্রবধূ রীনার কেনা জায়গায় কবর দেয়া হয়।

কিন্তু কবর দেয়ার কিছুদিন পর থেকেই মরদেহ তুলে অন্যত্র কবর দেয়ার জন্য শুরু হয় রীনার অত্যাচার। নিজের স্বামীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সে বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে কবর থেকে মরদেহ সরানোর জন্য।বৃদ্ধ জালাল উদ্দিন বলেন, জীবনের শেষ সময় এমন দৃশ্য দেখার আগে কেন আমার মৃত্যু হলো না। সব আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিলাম।

এদিকে পরিবারে শান্তি বজায় রাখতে শেষ পর্যন্ত মর্তুজার পাঁচ ছেলে ও দুই মেয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে মরদেহটি তুলে বাড়ির ভেতরে এনে উঠানের মধ্যে কবর দেন। সকালে বিষয়টি জানাজানির পর স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা সঙ্গবদ্ধ হয়ে রীনার বাড়িতে গিয়ে ভাঙচুর করে। এর আগেই পরিস্থিতি বুঝে আত্মগোপন করে সে।

কাইলাটি ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, কবর থেকে মরদেহ উঠানোর বিষয়টি নিয়ে শনিবার সালিশ বসবে। সবার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


শর্টলিংকঃ