Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

পুলিশ সুপার সেদিন ম্যাজিস্ট্রেটকে চিনতে পারেননি!


ইউএনভি ডেস্ক:

কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের ঘটনায় কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম তানভীর আরাফাত নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। তার আইনজীবী মনসুরুল হক আদালতে বলেন, পুলিশ সুপার সেদিন ম্যাজিস্ট্রেটকে চিনতে পারেননি। তাই অনিচ্ছাকৃত ভুল হয়েছে। ভবিষ্যতে তিনি দায়িত্ব পালনে আরও সতর্ক হবেন।

হাইকোর্টের তলবে হাজির হয়ে সোমবার তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খিজির হায়াতের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ পুলিশ সুপারকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়ে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানির তারিখ রেখেছেন।

একইসঙ্গে ভেড়ামারা পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করা উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. শাহজাহান আলী ও ওই ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ করা সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট কাউকে হয়রানি না করারও নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

পুলিশ কর্মকর্তা এস এম তানভীর আরাফাতের পক্ষে আদালতে ছিলেন আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী ও আহমেদ ইশতিয়াক।

প্রিজাইডিং কর্মকর্তার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অনীক আর হক ও ইশরাত হাসান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাহেরুল ইসলাম।

লিখিত আবেদনে তানভীর আরাফাত বলেন, বিচার বিভাগের জন্য আমার মনে সর্বোচ্চ সম্মান রয়েছে। কোনো অবস্থাতেই বিন্দুমাত্র অসম্মান দেখানোর কথা দূরে থাক, বরং বিচার বিভাগের দেওয়া কাজে নিয়োজিত হতে পারলে নিজেকে সম্মানিত বোধ করি। এ ঘটনায় আমি মনের গভীর থেকে অনুতপ্ত। আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

কুষ্টিয়ার এসপি এস এম তানভীর আরাফাতকে উদ্দেশ্য করে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘পত্র-পত্রিকায় যা দেখলাম তা যদি কুষ্টিয়ার বাস্তব চরিত্র হয়, তবে তা হবে জাতির জন্য ভয়ঙ্কর। এমন যাতে মানুষের মনে না হয় যে দেশ পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। দেশকে পুলিশি রাষ্ট্র বানাবেন না। জাতি উৎকণ্ঠিত, এটা নিরসনের দায়িত্ব আপনাদের।’

হাইকোর্ট আরও বলেন, ‘পুলিশকে কথায় নয়, কাজে পটু হতে হবে। কে কোন মতাদর্শের, কোন দলের, সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়। সর্বস্তরের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা পুলিশের দায়িত্ব। পুলিশ কারও জন্য ভীতিকর না হয়ে তাদের কর্মকাণ্ডে মানুষের বন্ধু হতে হবে।’


Exit mobile version