- ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ - https://universal24news.com -

পৌরসভা নির্বাচন ত্যাগী নেতারা দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী


আবু হাসাদ , পুঠিয়া:

রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভায় দ্বিতীয়বারের মত নির্বাচনের প্রস্ততি চলছে। আগামী ডিসেম্বরে এখানে ভোট গ্রহণের সম্ভবনা রয়েছে। এখন নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোনার অপেক্ষা মাত্র। ইতিমধ্যে মেয়র পদ প্রত্যাশীদের পাশাপাশি সংরক্ষিত ও কাউন্সিলর পদের সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠ পর্যায়ে প্রচারনায় নেমে গেছেন। সাধারণ ভোটারদের দিচ্ছেন বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি। এদের মধ্যে মনোনয়ন যুদ্ধে নেমে গেছেন নবীনদের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলের দুর্দিনের ত্যাগী নেতারা।


উপজেলা আ’লীগের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে দলের দুর্দিনের ত্যাগী নেতা ও উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক মেয়র প্রার্থী হতে চান। অপরদিকে পৌরসভা আ’লীগের সভাপতি ও বর্তমান সময়ের ক্লিন ইমেজের সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী আবু বাক্কার দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। নির্বাচনে আ’লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে দলের সিনিয়র নেতা হিসাবে এই দু’জনের নাম বেশী প্রচারণায় আসছে।

উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক বলেন, ছাত্র জীবন থেকে আমি আওয়ামী রাজনীতির সাথে আছি। দলের প্রয়োজনে গুরুত্ব সহকারে বিভিন্ন পদে দ্বায়িত্ব পালন করে আসছি। দ্বায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমাকে বহুবার মামলা-হামলার শিকার হতে হয়েছে। তারপরও ঢাল হয়ে সার্বক্ষনিক দল ও নেতাকর্মীদের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছি। তবে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে দল আমাকে মেয়র পদে মনোনয়ন দিলে আমি নির্বাচনে অংশ নিব।

অপরদিকে বিএনপির সম্ভব্য প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী আলোচনায় রয়েছেন দলের ক্লিন ইমেজের প্রার্থী ও সাবেক পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল মিয়া। এরপরই রয়েছেন পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত মেয়র ও সাবেক পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুল হক আসাদ। দু’জনেই দলীয় মনোনয়ন পেতে আগ্রহী।

স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন, বিগত দিনে দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থী ছিলেন আসাদ। এবার দল তাকে মনোনয়ন দেয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন। গত পৌরসভা নির্বাচনে তাকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল। তিনি নির্বাচিত হয়ে মেয়র হিসাবে প্রায় দেড় বছর দ্বায়িত্ব পাল করেন। এরপর তিনি দলকে কিছু না জানিয়ে গোপন কৌশলে কথিত পূণরায় ভোট গণনার নামে ফলাফলে পরাজয় দেখিয়ে বর্তমান মেয়রের নিকট দ্বায়িত্ব দিয়ে চলে যান। এরপর থেকে তার বিরুদ্ধে দলের নেতাকর্মীদের চরম ক্ষোভ রয়েছে। যার ফলে আসন্ন পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে বির্তকিতরা মনোনয়ন বঞ্চিত হবেন।

তবে সাবেক পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুল হক আসাদ বলেন, আমি সব সময় জনকল্যানমূলক কাজ করে আসছি। আর দল আমাকে মনোনয়ন দিলে আবারো এই পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নিলে জয়লাভ করতে পারবো।