পৌর ধর্মঘটে সড়কে সড়কে ময়লার স্তুপ


তারেক রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ :
পৌরসভা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধর্মঘটের কারণে নাগরিক সেবা ভেঙ্গে পড়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের চার পৌর এলাকার। ময়লা আবর্জনা অপসারণ কার্যক্রম বন্ধ থাকায় পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়কের ধারে ময়লার স্তুপ জমা পড়েছে। কোথাও কোথাও পানি সরবারহও বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া রাতে জ্বলছেনা সড়ক বাতিও।

রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতনভাতা ও পেনশনের দাবীতে গত এক সপ্তাহ ধরে সবধরনের কাজ বন্ধ রেখেছেন পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।ফলে পৌরসভা থেকে নাগরিক সনদ, জন্ম সনদ, মৃত্যু সনদ, ট্রেড লাইসেন্স তুলতে না পেরে ভোগান্তিতে পড়েছেন শত শত মানুষ। এদিকে দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

মঙ্গলবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা কার্যায়য়ে গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন দপ্তরের ঘরে ঘরে জুলছে তালা। দু-একটি ঘর খোলা থাকলেও কোন কার্যক্রম নেই। আন্দোলনে অংশ নিতে কর্মচারীদের মধ্যে অধিকাংশই এখন রয়েছেন ঢাকায়। সন্ধ্যার পর পৌর এলাকায় সড়কবাতি জ্বলছেনা। পরিছন্নকর্মীরা ময়লা আবর্জনা অপসারণের কাজ বন্ধ রাখায় ডাস্টবিনগুলো ভর্তি হয়ে আবর্জনা ছড়িয়ে পড়েছে রাস্তায়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার হুজরাপুরের মামুনুর রশিদ জানান, তার ছেলের জন্মনিবন্ধন কার্ড সংশোধন করা প্রয়োজন। অথচ তিনি চারদিন ঘুরেও তা তুলতে পারেননি।  আরামবাগের গৃহীনি সুলতানা বেগম জানান, ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করা হচ্ছেনা। বাড়ির সামনের রাস্তায় ময়লার স্তুপ জমা পড়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর কবীর জানান, কর্মচারীরা কাজে না আসায় তারাও কাজ করতে পারছেন না।
একই অবস্থা বিরাজ করছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অন্য তিন পৌরসভা শিবগঞ্জ, রহনপুর ও নাচোলে। সেখানেও কাজকর্ম বর্জন করে আন্দোলন করছেন পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তরিকুল ইসলাম জানান, জনগণের কিছুটা দুর্ভোগ হলেও বাধ্য হয়েই তারা আন্দোলন করছেন।কারণ. কোন কোন পৌরসভার কর্মচারীদের বেতন-ভাতা তিন মাস থেকে তিনবছরের মত বকেয়া। এজন্য তারা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতনভাতা ও পেনশনের দাবী করছেন। জনগনের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশও করেন তিনি।


শর্টলিংকঃ