প্রতিষ্ঠানে দুটি ছবি টানানোর ক্ষেত্রে কঠোর হতে হবে: সুলতান মো. মনসুর


ডাকসুর সাবেক ভিপি ও মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসন থেকে নির্বাচিত গণফোরামের বহিষ্কৃত নেতা সুলতান মো. মনসুর আহমদ বলেছেন, স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি টানাতে হবে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে দুটি ছবি টানানোর ক্ষেত্রে কঠোর হতে হবে। যদি ছবি টানানো না হয় সেই সব প্রতিষ্ঠানে আমাদের সহযোগিতা পাবে না।


কুলাউড়া উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও যুব ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব বলেন।

সুলতান মো. মনসুর আহমদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর সমালোচনা করা যাবে, যেমনিভাবে গান্ধির সমালোচনা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর ক্ষমতা বা দায়িত্বকালীন নিয়ে অনেকেই সমালোচনা বা রাজনীতি করতে পারবেন।

তিনি বলেন, ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দেশে এসেছিলেন, ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। কাজেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ এগুলো নিয়ে কোনো সমালোচনা করা যাবে না। ১২ জানুয়ারি থেকে ‘৭৫-এর ১৫ আগস্ট পর্যন্ত যতদিন ক্ষমতায় ছিলেন সেটা নিয়ে অনেকেই সমালোচনা বা রাজনীতি করতে পারেন।

এমপি সুলতান মো. মনসুর আহমদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ও স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যারা সামালোচনা করবে তাদের জাতীয় বেঈমান বা কুলাঙ্গার বলা ছাড়া আর কিছু বলার থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, দেশি-বিদেশি স্বাধীনতা বিরোধীচক্র এ দেশের স্বাধীনতা ও এ দেশের স্বার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারা এ দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করতে চেয়েছিল। সেই রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার ও নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবার।

এমপি বলেন, একই চক্রান্তের ধারাবাহিকতায় কারাঘারের অভ্যন্তরে জাতীয় ৪ নেতাকেও হত্যা করা হয়েছে। সেটা ছিল সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা। সেই পরিকল্পনার ধারবাহিক অংশহিসেবে অনেক ঘটনা দুর্ঘটনা ঘটিয়ে আজকের বাংলাদেশকে এই পর্যায়ে আনা হয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুলতান মো. মনসুর আহমদ আরও বলেন, বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটি অসহায়ত্বের দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। দেশপ্রেম ও নৈতিকতা দিয়ে সেই অসহায়ত্ব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে আমাদের সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে। এবং ঐক্যবদ্ধ থেকে বাংলাদেশের বভিষ্যৎ গড়ে তুলতে হবে।

কুলাউড়া উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে ইউএনও মো. আবুল লাইছের সভাপতিত্বে এবং মৎস্য অফিসার সুলতান মাহমুদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম শফি আহমদ সলমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদিউর রহিম জাদিদ, কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র শফি আলম ইউনুছ, জাসদ নেতা গিয়াস উদ্দিন, মইনুল ইসলাম শামীম প্রমুখ।


শর্টলিংকঃ