Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

প্রিমিয়ার ব্যাংকের সেই কর্মকর্তাকে রিমান্ডে চায় দুদক


নিজস্ব প্রতিবেদক :
তিন কোটি ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের রাজশাহী শাখার কর্মকর্তা এফএম শামসুল ইসলাম ফয়সালকে সাত দিনের রিমান্ডে চায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আদালতে তার এই রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। আগামী ১ মার্চ রিমান্ড আবেদনের শুনানি হবে।

এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি এফএম শামসুল ইসলাম ফয়সালের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে একটি মামলা হয়েছে। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আলমগীর হোসেন মামলাটি দায়ের করেছেন। সেদিনই আসামির রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গত ২০ জানুয়ারি নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলা করে। তবে যে অপরাধের জন্য মামলা করা হয়েছে সেটি দুদকের আওতাভুক্ত। সে জন্য থানা থেকে নথিপত্র পাঠানো হয় দুদকে। পরে এ নিয়ে দুদক নতুন করে মামলা করেছে।

আসামি ফয়সাল প্রিমিয়ার ব্যাংকের রাজশাহী শাখার সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ ইনচার্জ)। নগরীর সাগরপাড়া এলাকায় তার বাড়ি। তার বাবার নাম একেএম নজরুল ইসলাম। থানায় মামলা হওয়ার আগেই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। মামলার পর পুলিশ তাকে রিমান্ডেও নেয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদে ফয়সাল জানিয়েছেন, অনলাইনে জুয়ার আসরে ঢেলেছেন ব্যাংকের ভল্টের টাকা।

দুদক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, গত ২৩ জানুয়ারি ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক সেলিম রেজা খান হিসাব ক্লোজ করার সময় দেখেন ভল্টে তিন কোটি ৪৫ লাখ টাকা কম। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি ক্যাশ ইনচার্জ ফয়সালের কাছে জানতে চাইলে তিনি তখন জানান, পারটেক্স গ্রুপের সুবর্ণভূমি হাউজিং প্রকল্পের জমি নিজের নামে কিনতে এক কোটি টাকা দিয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন সময় বন্ধু সামাউনকে এক কোটি ৪৫ লাখ এবং আরেক বন্ধু প্রবীরকে এক কোটি টাকা ধার দিয়েছেন। আবার জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে দিয়েছেন ভিন্ন তথ্য।

এসব তথ্য যাচাইয়ের জন্য ফয়সালকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। সে জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ফয়সাল তিন কোটি ৪৫ লাখ টাকা কীভাবে ব্যয় করেছেন তা বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছেন দুদক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম।


Exit mobile version