Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

প্রেমিকার সাথে দেখা করতে গিয়ে পিটুনিতে জীবনশঙ্কায় প্রেমিক


বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি :

রাজশাহীর বাঘায় প্রেমের ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে জনি আহম্মেদ নামের এক যুবককে খুঁটির সাথে বেঁধে নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঈদের দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যায় উপজেলার কলিগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

জনি আহম্মেদ উপজেলার কলিগ্রামের কালাম উদ্দীনের ছেলে। এ ব্যাপারে জনী আহম্মেদের বাবা কালাম উদ্দীন বাদী হয়ে শুক্রবার ঈদের তৃতীয় দিন স্কুল ছাত্রীর মা-বাবা, চাচা-চাচী, প্রতিবেশি আত্নীর বিরুদ্ধে বাঘা থানায় নির্যাতনের অভিযোগ করেন।

বাঘা থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স্কুল ছাত্রীর বাবা-মার অনুপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্কুল পড়ুয়া এক মেয়ের সাথে জনি আহম্মেদ দেখা করতে যায়। এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় ওই মেয়েকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এ সময় তার চিৎকারে পাশের বাড়ি থেকে স্কুল ছাত্রীর চাচা-চাচী এগিয়ে এসে তাকে আটক করে।

পরে খুঁটির সাথে রশি দিয়ে জনি আহম্মেদের হাত বেঁধে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। তাদের মারপিঠে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে জনি আহম্মেদ। এ নির্যাতনের ঘটনা শুনে এলাকার লোকজন বাড়ির মধ্যে ঢুকতে না পেরে রাস্তায় ভিড় জমাতে থাকে।

এ নির্যাতনের খবর পেয়ে মানবাধিকার কমিশন, বাঘা উপজেলার শাখা সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর আলম ঘটনাস্থলে গিয়ে খুটির সাথে বাধা অবস্থায় দেখে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে বাঘা থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মুঞ্জুরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে জনী আহম্মেদকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

তার অবস্থা আশাঙ্কাজনক দেখে কর্মরত ডাক্তার আখতারুজ্জামান তাৎক্ষনিক জনীকে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।  এ বিষয়ে স্কুল ছাত্রীর বাবা বলেন, চিকিৎসার জন্য আমার স্ত্রীকে নিয়ে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন। বাড়িতে ফিরে দেখি জনি আহম্মেদ নামের এক ছেলেকে খুঁটির সাথে বাঁধা। আমার মেয়েকে সে অনেক আগে থেকে উত্ত্যক্ত করতো। ওই দিনও বাড়িতে এসে উত্ত্যক্ত করার কারনে বাড়ির লোকজন তাকে বেঁধে রেখে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।

জনী আহম্মেদের বাবা কালাম উদ্দীন বলেন, আমার ছেলেকে কৌশলে ডেকে নিয়ে নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে। বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহসীন আলী জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


Exit mobile version