প্রেমিকের দেয়া মোবাইল নিয়ে ঝগড়ায় মেয়েকে খুন করলেন মা


ইউএনভি ডেস্ক:
প্রেমিকের দেয়া মোবাইল নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে গলায় থাকা ওড়না দিয়ে ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে হত্যা করেছে মা। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর সহায়তায় ঘাতক মাকে আটক করেছে থানা পুলিশ। রোববার গভীর রাতে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় বিনোদনগর ইউনিয়নের বড় মাগুড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

প্রেমিকের দেয়া মোবাইল নিয়ে ঝগড়ায় মেয়েকে খুন করলেন মা

ঘাতক মোছা. রহিমা বেগম (৪৩) উপজেলার বিনোদনগর ইউনিয়নের বড় মাগুড়া গ্রামের মো. বুলু মিয়ার স্ত্রী। নিহত মোছা. ফাতেমা (১৩) ওই এলাকার বিনোদনগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। নবাবগঞ্জ থানার ওসি অশোক কুমার চৌহান সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় বিনোদনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন বলেন, রোববার সকালে বাড়ির পাশে আমগাছ থেকে আম নামানোর সময় মেয়ে ফাতেমার কোমরে একটি মোবাইল দেখতে পান মা রহিমা বেগম। পরে মেয়েকে মোবাইলের বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়ে ফাতেমা কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি।

চেয়ারম্যান বলেন, ঘটনার পর রহিমা বেগম ফোনটি নিয়ে ঘরের শোকেসে তালাবদ্ধ করে পাশের গ্রামে বড় মেয়ের বাড়িতে চলে যান। এরপর বিকেলে মেয়ের বাড়ি থেকে ফিরে শোকেসের তালা ভাঙা দেখে মেয়ে ফাতেমাকে আবারও জিজ্ঞেস করলে সে কোনো উত্তর দেয়নি। এরপর মা-মেয়ের মাঝে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মেয়ের গলায় থাকা ওড়না ধরে টান দেন মা। এতে সেখানেই মেয়ে ফাতেমা মারা যায়।

নবাবগঞ্জ থানার ওসি অশোক কুমার চৌহান বলেন, এলাকাবাসীর দেয়া খবরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে রাত ১২টার দিকে লাশ উদ্ধার এবং ঘাতক মা রহিমা বেগমকে আটক করে থানায় আনা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজ মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

ওসি বলেন, রাতেই মেয়ের চাচা মো. আলম হোসেন বাদী হয়ে মা রহিমা বেগমকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মেয়ের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক রহিমা বেগমকে দিনাজপুর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।


শর্টলিংকঃ