‘ফাঁকা স্টেডিয়ামে খেলা আর কনে ছাড়া বিয়ে একই ব্যাপার’


ইউএনভি ডেস্ক:
বিরাট কোহলি আগেই বলেছিলেন, একজন ক্রিকেটারের পক্ষে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলা কষ্টের। দর্শক ছাড়া স্টেডিয়ামে খেলা হলে ম্যাজিকাল মোমেন্ট তৈরি হবে না। ক্রিকেটার হোক বা ফুটবলার, দর্শকরাই তাদের ভাল খেলার উৎসাহ জোগান।

'ফাঁকা স্টেডিয়ামে খেলা আর কনে ছাড়া বিয়ে একই ব্যাপার'

গ্যালারিতে ফেটে পড়া হাততালি একজন ক্রীড়াবিদকে ভাল পারফর্ম করার রসদ জোগায়। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সময় দর্শকদের সমর্থন ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। সেখানে দর্শকরাই যদি না থাকেন, তাহলে একজন ক্রীড়াবিদ উৎসাহ পাবেন কী করে?

তাই করোনা পরবর্তী সময়ে ফাঁকা স্টেডিয়ামে খেলার ব্যাপারে কোহলিসহ অনেক ক্রীড়াবিদই হতাশা জাহির করেছিলেন। এবার একই কথা শোনা গেল শোয়েব আখতারের গলায়। ইউরোপের বহু দেশে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলা হচ্ছে। অর্থাৎ মৌশুম শুরু করার জন্য কর্তৃপক্ষ যেভাবেই হোক খেলা আয়োজন করাচ্ছে।

কিন্তু এভাবে খেলোয়াড়রা আদৌ উৎসাহ পাবে না বলেই মনে করেন শোয়েব আখতার।তিনি বলেছেন, দর্শকশূন্য ফাঁকা স্টেডিয়ামে ক্রিকেট খেলা আর কনে ছাড়া বিয়ে করা একই ব্যাপার। ম্যাচ আয়োজন ক্রিকেট বোর্ডগুলোর কাছে আর্থিক কারণে জরুরি। কিন্তু এত সহজে এই ব্যাপারটিকে বাস্তবসম্মত করা সম্ভব নয়।

খেলার জন্য দর্শক জরুরি। দর্শকরাই যে কোনও ম্যাচের প্রাণ। আশা করব আগামী এক বছরের মধ্যেই করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।২০০৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ নিয়ে কথা বলেন শোয়েব। তিনি বললেন, সেই ম্যাচে শচীন টেন্ডুলকার ৯৮ রানে আউট হওয়ায় তিনি হতাশ হয়েছিলেন।

আখতারের বাউন্সারে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছিলেন শচীন।শোয়েব বলেন, ওই দিন শচীন স্পেশাল ইনিংস খেলেছিল। ও সেঞ্চুরি করলে খুশি হতাম। আমার বাউন্সারে ছক্কা হলেও আফসোস থাকত না। আমি আশা করেছিলাম যে ও সেঞ্চুরি করবে।


শর্টলিংকঃ