ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পের সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর


ইউএনভি ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার ১০টি বিদ্যমান প্রকল্পের সঙ্গে আরও বেশ কিছু প্রকল্পকে ‘ফাস্ট ট্র্যাক’ প্রকল্প হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করবে। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প’ মনিটরিং কমিটির পঞ্চম সভায় সভাপতিত্বকালে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে কয়েকটি প্রকল্পকে ফাস্ট ট্র্যাক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছি এবং প্রকল্পগুলোর সামগ্রিক বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছি। কমিটির (ফাস্ট ট্র্যাক প্রজেক্ট মনিটরিং কমিটি) আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বড় প্রকল্প পর্যবেক্ষণ করা উচিত।’

ফাস্ট ট্র্যাকভুক্ত ১০টি প্রকল্প ছাড়াও অন্য বড় প্রকল্পগুলো মনিটর করতে ‘ফাস্ট ট্র্যাক মনিটরিং কমিটি’কে নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সেগুলো তো মনিটর করবোই, ভবিষ্যতে আমার মনে হয় এই কমিটি থেকে শুধু এই কয়েকটা দেখলে হবে না, আরও অনেক প্রজেক্ট আছে, সেগুলো দেখতে হবে।’

সরকারের ধারাবাহিকতার সুফল তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এই ধারাবাহিকতা না থাকলে সরকার পরিবর্তন হলে কাজের ধারাও নষ্ট হয়ে যায়। টানা তিনবার আওয়ামী লীগকে দেশ পরিচালনার সুযোগ দেওয়ায় জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জনগণের কাছে কৃতজ্ঞ যে অন্তত তারা আমাদের এইটুকু সুযোগ দিয়েছেন এবং এবার নিয়ে আমরা পর পর তৃতীয়বার এসেছি (রাষ্ট্র পরিচালনায়)। তাতে আমাদের উন্নয়ন কাজগুলো বাস্তবায়নও করতে পারছি এবং মানসম্মতও করতে পারছি।’

এ বৈঠকে পদ্মা বহুমুখী মূল সেতুর নির্মাণকাজ ৮৫ দশমিক ৫ শতাংশ এবং প্রকল্পটির সার্বিক অগ্রগতি ৭৬ দশমিক ৫০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানায় ফাস্ট ট্র্যাক মনিটরিং কমিটি। পদ্মা সেতুসহ ফাস্ট ট্র্যাকভুক্ত ১০টি প্রকল্পের প্রতিটির অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরা হয় এ সভায়।

ফাস্ট ট্র্যাকের অপর প্রকল্পগুলো হচ্ছে- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট (রামপাল), মহেশখালী-মাতারবাড়ি সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম, ঢাকা মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প, এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প, গভীর সমুদ্রবন্দর, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ প্রকল্প, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ এবং দোহাজারী-রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমার নিকটবর্তী ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্প।

বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। বাসস


শর্টলিংকঃ