ফিলিপাইনে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী টাইফুন ‘গনি’


ইউএনভি ডেস্ক:

এ বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন ‘গনি’ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনে আঘাত হেনেছে। ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার বেড়ে এটি রোববার ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে দেশটির ক্যাতানদুয়ানেস দ্বীপে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানে। খবর বিবিসির।

এর আগে দক্ষিণাঞ্চলের লুজন দ্বীপের ওপর দিয়ে বয়ে যায়। দেশটির কর্তৃপক্ষ লুজন দ্বীপের প্রায় ১০ লাখ বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে। তাইফুন গনির প্রভাবে রোববার সকাল থেকে ফিলিপাইনের রাজধানী এবং আশপাশের ২১ প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।

দেশটির আবহাওয়া ও দুর্যোগ কর্তৃপক্ষ আগেই সতর্ক করেছে, ঘূর্ণিঝড় গনি ঘণ্টায় টানা গতিবেগ থাকে ২১৫ কিলোমিটার গতিবেগে আঘাত করতে পারে। এ গতিবেগ বেড়ে ঘণ্টায় ২৬৫ কিলোমিটার বা ১৬৪ মাইল হতে পারে।

২০১৩ সালে ফিলিপাইনে টাইফুন হাইয়ানের আঘাতে ৬ হাজার তিনশরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। গনি তার চেয়েও শক্তিশালী হতে পারে বলে সতর্ক করেছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ।

ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের শীর্ষ সহযোগী সিনেটর ক্রিস্টোফার গো বলেন, ‘কোভিড-১৯ নিয়ে আমরা কঠিন সময় পার করছি। এর মধ্যে আরও একটি দুর্যোগ আসছে।’

তিনি বলেন, এসব স্থানে যেন ভাইরাস ছড়িয়ে না পড়ে তা স্থানীয় নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিশ্চিত করতে হবে। জাতীয় দুর্যোগ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রিকার্ডো জালাদ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, আলবে প্রদেশের সাত লাখ ৯৪ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদে স্থানে সরিয়ে নেন কর্মকর্তারা।

তিনি আরও বলেন, রাজধানী ম্যানিলা এবং পাশের বুলকান প্রদেশে হোম আইসোলেশনে থাকা প্রায় এক হাজার করোনা রোগীকে হোটেল ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

ফিলিপাইন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে করোনায় মৃত ও আক্রান্তের দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থান আছে। দেশটিতে ৩ লাখ ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৭ হাজার ২২১ জন মারা গেছেন। গত সপ্তাহে ম্যানিলার দক্ষিণ প্রদেশে মোলাভের আঘাতে ২২ জনের মৃত্যু হয়।


শর্টলিংকঃ