ফোন করলেই খাদ্যসহায়তা পাচ্ছেন বাগমারার দরিদ্র মানুষ


বাগমারা প্রতিনিধি : 

 বাগমারায় খাদ্য সহায়তায় এগিয়ে রয়েছে স্থানীয়ভাবে গড়ে তোলা করোনা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। হটলাইনের মাধ্যমে স্থানীয় এমপি এনামুল হকের তদারকিতে টিমের সদস্যরা নিয়মিত খাদ্যসামগ্রী পৌছে দিচ্ছেন কর্মহীনদের ঘরে ঘরে। এখান থেকে খাবার সংগ্রহ করতে পেরে সংকট মূহুর্তে হাসি ফুটেছে অসহায়দের মুখে। বিপদের সময় জনগণের পাশে থাকা নেতার কাজ বলে মনে করছেন স্থানীরা।

সরকারি সহায়তার পাশাপাশি তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে উপজেলা আ’লীগের দলীয় কার্যালয় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর কমপ্লেক্সে চালু করেছেন কন্ট্রাল রুম। এই কন্ট্রোর রুমে সদস্যরা সার্বক্ষণিক দাযিত্ব পালন করে চলেছেন। চালু রাখা হয়েছে হটলাইন নাম্বার। স্বাস্থ্যসেবাসহ খাদ্য সমস্যায় যে কেউ ফোন করে পাচ্ছেন দ্রুত সময়ের মধ্যে কাঙ্খিত সেবা। জনগণের যে কোন সমস্যা মোকাবেলায় সর্বদায় কাজ করে চলেছে এই কন্ট্রোল রুম।

উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন আর ২টি পৌরসভার প্রত্যন্ত এলাকায় গরীব, দুস্থ, অহসায়, ছিন্নমূল, মধ্যবিত্তের পাশাপাশি যে সকল পরিবার খাদ্য সংকটে রয়েছে তাদের বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন কন্ট্রোর রুমের সদস্যা। শুধু তাই নয়, উপজেলা জুড়ে যতগুলো চা বিক্রেতা, ভ্যানচালকসহ ছিন্নমূল পরিবার রয়েছে সর্ব প্রথম তাদের বাড়িতে খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

এছাড়াও যারা কন্ট্রোল রুমে দায়িত্ব পালনকারীদের মোবাইল ফোনে খাদ্য সহায়তার আবেদন করেন দ্রুত সময়ের মধ্যে মটরসাইকেলের মাধ্যমে তাদের বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় পাঁচ হাজারের অধিক বাড়িতে খাদ্য সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করেছে কন্ট্রোল রুমের সদস্যরা।

কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে নিয়োজিত উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার আবুল ও শ্রীপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান বলেন, এমপি এনামুল হকের পক্ষ থেকে আমরা খাদ্য সংকটে রয়েছে তাদের বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছি। কেউ যেন খাদ্য সংকটে কষ্ট না পায় সেদিক বিবেচনা করেই যে কোন ভাবে সেই ব্যক্তি বা পরিবারের নিকট খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। স্থানীয় ইউনিয়ন এবং পৌর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় এই কাজটি করা হচ্ছে।

এনামুল হক এমপি বলেন, যেহেতু করোনা সংকটে লোকজনের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সকল প্রকার কর্ম বন্ধ রয়েছে সে কারনে খাদ্য সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাদেরকে। জনপ্রতিনিধি হয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানো আমার কর্তব্য। কেউ যেন না খেয়ে কষ্ট না পায় সে জন্য কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। যতদিনে এই সমস্যা থাকবে ততোদিন কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের হাত থেকে নিজেসহ পরিবারকে রক্ষা করতে চাইলে বাড়িতে অবস্থান করতে হবে। এজন্য সবাইকে সরকারের সকল নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।


শর্টলিংকঃ