ফোন করলেই খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন আসাদ


নিজস্ব প্রতিবেদক :

করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ বিস্তারের ফলে সংকটকালীন সময়ে রাজশাহী জেলার বিভিন্ন উপজেলার কর্মহীন শ্রমজীবী ও দরিদ্র মানুষের পাশে সামর্থ্য অনুযায়ী থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল রাজশাহী জেলা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাঃ আসাদুজ্জামান আসাদ। সে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি নিজ ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। তাতে তিনি  রোববার বিকাল পর্যন্ত ৫০০ ফোন কল ও মেসেজ পেয়েছেন।

ফোন পেয়েই খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন আ’লীগ নেতা আসাদ

যারা ফোন ও মেসেজ দিয়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন যে, আমি তাদের পরিবারের একজন হয়ে তাদেরই পাশে থাকবার সুযোগ পেয়ে। তিনি ইতিমধ্যে ৩০০ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে এবং সাধ্যমত ব্যবস্থা করে দিয়েছে। দুঃখজনক যে তাকে কেউ কেউ ফোন ও মেসেজ দিয়ে বিব্রত করছেন। এখন এই সময় মানুয়ের পাশে দাঁড়ানোর সময়। তিনি বঙ্গবন্ধুর “যার যা কিছু আছে” সেই কথাকে পাথেয় ধরে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশমত নিম্ন আয়ের হতদরিদ্র, কৃষি শ্রমিক, দিনমজুর, রিক্স/ভ্যান চালক, পরিবহন শ্রমিক, ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, পথশিশু, স্বামী পরিত্যক্তা/বিধবা নারী এবং হিজড়া সম্প্রদায়ের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, আমার সামর্থ্য সীমিত কিন্ত আন্তরিকতা, সহমর্মিতা, সমব্যথিতার ঘাটতি নেই। তিনি যে উদ্দেশ্যে ফেসবুক স্ট্যাটাস  লিখেছেন-‘ যারা অন্য কোথাও হাত বাড়াতে বা সাহায্যের জন্য যেতে অথবা লাইনে দাঁড়াতে পারছে না শুধুমাত্র তাদের জন্য এই আহবান ছিল এবং এটি শুধুমাত্র রাজশাহী জেলার জন্য প্রযোজ্য। আপনারা যারা সাহায্য সহযোগিতা পেয়েছেন  ও  যারা পাই নাই তাদেরকে সুযোগ করে দিবেন। এই প্রত্যাশা আপনাদের কাছে করছি।

রোববার লক্ষীপুর মোড়ের আওয়ামী লীগের কার্যালয় হতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় কর্মহীন খেটে খাওয়া মানুষদের খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়েছেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাঃ আসাদুজ্জামান আসাদ।

এই সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপ-দফতর সম্পাদক প্রভাষক মোঃ শরিফুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সভাপতি আবু সালেহ, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আলী আজম সেন্টু, আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ।

এ সময় আসাদ বলেন, দিন দিন করোনা ভাইরাস পৃথিবীতে মহামারী রূপ নিচ্ছে। করোনা ভাইরাস দেশের মধ্যেও উদ্বেগজনক বিস্তার ঘটচ্ছে। সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে যাতে এই ভাইরাস দেশের জনগণের মাঝে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে না পড়ে। তার জন্য বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা দ্রুত নিচ্ছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা করোনা ভাইরাস যাতে আরোও বেশি বিস্তার ঘটাতে না পারে তার জন্য জনগণকে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যেন বের না হয় সে জন্য কঠোরভাবে নির্দেশ দিচ্ছেন। করোনা ভাইরাসের সকল নির্দেশনা নিজে মেনে চলি এবং সকলকে মেনে চলার জন্য অনুরোধ করি। এই ভয়াবহ করোনা ভাইরাস থেকে সকলকে হেফাজত করুন এবং সবাই নিরাপদে অবস্থান করি।


শর্টলিংকঃ