“বড় বড় এনজিওগুলোতে হিজড়াদের চাকরি দিতে হবে”


ইউ এন ভি ডেস্ক:

হিজড়া জনগোষ্ঠীকে অবহেলা না করে সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিয়ে তাদের পাশে থেকে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। এলক্ষ্যে ২০২০ সাল থেকেই এনজিও ব্যুরো হিজড়াদের চাকুরি দেওয়া বাধ্যধামূলক করবে বলে জানান, এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালক কে এম আব্দুস সালাম।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর এনজিও ব্যুরো কার্যালয়ে বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি আয়োজিত ‘অধিকার এখানে, এখনই’ প্রকল্পের অর্থায়নে ‘লৈঙ্গিক বৈচিত্র্যময়/ হিজড়া জনগোষ্ঠীকে মূলধারায় অন্তর্ভূক্তির ক্ষেত্রে এনজিও ব্যুরোর ভুমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।

আব্দুস সালাম বলেন, আসছে বছরে এনজিও ব্যুরোর প্রধান প্রায়োরিটি হবে হিজড়া ও ডিজঅ্যাবিলিটি ইস্যুকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা। শুধু পাসপোর্টে হিজড়া লিঙ্গ সংযুক্ত করলেই হবে না, এই বিষয়ক আইনও সংশোধন করতে হবে। পাশাপাশি সরকারি সব ফরম, দলিল, দস্তাবেজে লিঙ্গ হিসেবে হিজড়া সংযুক্ত করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এসময়, বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটিকে হিজড়াবান্ধব প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি ক্লাস্টার তৈরি করে প্রয়োজনীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের দায়িত্ব দেন আব্দুস সালাম। ঢাকাসহ সারাদেশের হিজড়াদের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণের কথাও বলেন তিনি।

গত ২২ বছর ধরে লিঙ্গ বৈচিত্র্যময় ও অবহেলিত হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন, মানবাধিকার রক্ষা ও ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ নিরসনে কাজ করছে বন্ধু সোস্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রুবাইয়াত ফেরদৌস, বন্ধু-র নির্বাহী পরিচালক সালেহ আহমেদ ও পরিচালক প্রোগ্রাম ফসিউল আহসান।


শর্টলিংকঃ