Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

বনরুইয়ে অনুকূল পরিবেশ খুঁজে পেয়েছিল করোনার জীবাণু: গবেষণা


ইউএনভি ডেস্ক:
কভিড-১৯ বা নতুন করোনাভাইরাসের উৎপত্তির বিষয়টি জানতে প্রাণান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এ নিয়ে গবেষণারত একদল গবেষক শুক্রবার জানিয়েছেন, মানুষের শরীরকে সংক্রমিত করার আগে কিছু সময়ের জন্য ভাইরাসটি বাদুড় ও বনরুইকে সংক্রমিত করেছিল।

বিশেষ করে বনরুইয়ের মধ্যে অনুকূল পরিবেশ খুঁজে পেয়েছিল ভাইরাসটি। এই প্রাণীর দেহেই সম্ভবত নতুন করোনাভাইরাসের জীবাণু জীনগতভাবে সমৃদ্ধ হয়। নতুন করোনাভাইরাসের জীনতত্ত্ব নিয়ে গভীরভাবে গবেষণা করতে গিয়ে এমন যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছেন তারা।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ডিউক বিশ্ববিদ্যালয় ও লস আমোস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির একদল গবেষক সায়েন্স অ্যাডভান্সেস জার্নালে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।

বনরুই হলো আঁশযুক্ত পিঁপড়াভুক প্রাণী। চীনে বনরুই খাদ্য হিসেবে বাজারে বিক্রি হয়। মহামারি ছড়িয়ে পড়ার জন্য বিজ্ঞানীরা এই প্রাণীটিকেই প্রধান সন্দেহভাজনের তালিকায় রেখেছেন। তবে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, বনরুই থেকেই যে করোনাভাইরাস মানুষের শরীরে ছড়িয়েছে তা শতভাগ নিশ্চিত নয়।

বনরুই থেকে মানুষের শরীরে ছড়ানোর আগে সম্ভবত আরও একটি প্রাণীকে সংক্রমিত করেছিল করোনার জীবাণু। সেই প্রাণী থেকে সংক্রমিত হয়েছে মানুষ। তবে সেটি কোন ধরনের প্রাণী তা এখনই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।

গবেষকরা বলেছেন, একটি বিষয় পরিষ্কার। আর তা হলো, বাদুড়, বনরুই এবং সম্ভাব্য তৃতীয় প্রজাতির প্রাণীটিতে থাকা করোনাভাইরাসের জীবাণুর সঙ্গে কভিড-১৯ এর জীন বারবার অদলবদল হয়েছে।

ফলে মানুষকে বণ্যপ্রাণীর সংস্পর্শ যতটা পারা এড়িয়ে চলতে হবে। তা না হলে আবার নতুন সংক্রমণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।বাদুড় ও বনরুইয়ের মধ্যে থাকা তিন ধরনের করোনাভাইরাসের ৪৩টি সম্পূর্ণ জিনোম বিশ্লেষণ করেছেন গবেষকরা।

লস আমোস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানী ও গবেষক দলের একজন এলেনা গিওর্গি বলেছেন, ‘নতুন করোনাভাইরাসের বিবর্তনের একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস আমরা খুঁজে পেয়েছি। মানুষো শরীরে সংক্রমিত হওয়ার আগে ভাইরাসটি বাদুড় ও বনরুইয়ের মধ্যেই জীনগত পুর্নবিন্যাস করতে সক্ষম হয়েছিল। এই সক্ষমতা অর্জনের পরই ভাইরাসটি মানুষের শরীরে প্রবেশ করে’।


Exit mobile version