বলাৎকারে অতিষ্ঠ হয়ে রাজশাহীতে বিএনপি নেতাকে হত্যা


নিজস্ব প্রতিবেদক :

বলাৎকারের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়েই রাজশাহীতে বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম নুরু হত্যা করা হয়েছে-এমন স্বীকারোক্তি আদালতে দিয়েছে জীবন নামে এক যুবক। নিহত নুরুল জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল পুঠিয়া উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি ও জিউপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক। নিহত নুরুলের বাড়ি ধোপাপাড়া গ্রামে।

স্বীকারোক্তিতে জীবন আদালতকে জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে নুরু বলাৎকার করে আসছিল। কিন্তু এ ধরনের নির্যাতন আর সইতে না পেরে তাকে হত্যা করে। সোমবার রাজশাহীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক আরিফুল ইসলামের কাছে এ জবানবন্দি দেয় জীবন। রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতেখায়ের আলম ইউনিভার্সাল২৪নিউজকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  

তিনি জানান, গত ১১ জুন পুঠিয়া উপজেলার কাঠালবাড়িয়ার এএসএস ইটভাটায় শ্রমিকদল নেতা নুরুলের মরদেহ পাওয়া যায়। এঘটনায় তার মেয়ে অজ্ঞাত আসামী দেখিয়ে  দণ্ডবিধির ৩৬৪/৩০২ ও ৩২ধারা পুঠিয়া থানায় মামলা (নং৮, তারিখ ১১-৬-২০১৯) করেন।

এরপরই সন্দেহভাজন হিসেবে গত ১৬জুন পুঠিয়ার রামজীবনপুর গ্রামের জিয়ারুলের ছেলে জীবনকে (১৬) আটক করে পুলিশ। পরে ১৬৪ধারায় জীবন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

জবানবন্দিতে জীবন বলেছেন,  প্রতিবেশী নুরুল ইসলামকে সে নানা সম্বোধন করতো। দীর্ঘদিন ধরে নুরুল তাকে বলাৎকার করে আসছিল। এরপ্রতিবাদ করলেই নানাভাবে তাকে নির্যাতনও করতো নুরুল।

সবশেষ গত ১০ জুন রাত ৯টার দিকে জীবনকে নির্জন ইটভাটায় নিয়ে গিয়ে জীবনকে বলাৎকার করে নুরুল। একপর্যায়ে তিনি মাটিতে পড়ে গেলে প্রথমে গলা টিপে ও পরে ইট দিয়ে মাথায় উপর্যুপরি আঘাত হত্যা করে জীবন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতেখায়ের আলম আরো জানান, নুরুল ইসলামে এধরনের কুরুচিপূর্ণ ঘৃণ্যকাজ আগে করেছে। এ বিষয়ে অপর তিনজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছে।   


শর্টলিংকঃ