বশেমুরবিপ্রবি’র উপাচার্য অপসারনে রাবিতে মানববন্ধন


রাবি প্রতিনিধি:

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক খন্দকার নাসির উদ্দিনকে অপসারনের দাবি জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ নিশ্চিতকরণের দাবি জানায় তারা।

 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের মানববন্ধন

বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থগারের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে সাংবাদিকরা এ দাবি জানায়।

মানববন্ধকে বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো মুক্তি জ্ঞান চর্চার আবাসভূমি। এখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অবাধে জ্ঞান চর্চা করবে। কিন্তু বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের নানাভাবে হয়রানি করছে। যেখানে বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য ক্ষমতা বলে বিভিন্ন মেয়াদে শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করার অভিযোগ রয়েছে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং সাংবাদিক ফাতেমা তুজ জিনিয়াকে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে বহিষ্কার করে। যা দেশব্যাপী আলোচনার মুখ্য কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। এমনকি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে উপাচার্য পরে বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করে। উপাচার্যের এমন কর্মকান্ডে বক্তারা এসময় তাকে অপসারণের দাবি জানায়।

এসময় বক্তারা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার নামে ব্যবসা চালু করেছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দেশব্যাপী আলোচনার শীর্ষে। এছাড়াও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনিয়ম, নিয়োগ বানিজ্য, শিক্ষার মান, শিক্ষার্থীদের হয়রানি, দূর্নীতি প্রভূতি নিয়েও চলছে সমালোচনা। এখন বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন বলতে শুধু সুউচ্চ ভবন নির্মাণ, ক্যাম্পাসের পুরনো গাছ কাটা, বিভিন্ন স্থাপনা স্থাপন করাকেই বুঝায়। কিন্তু একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান মানদন্ড হচ্ছে উচ্চ শিক্ষা প্রদান, গবেষণা করা, প্রযুক্তিগত জ্ঞান উন্নয়ত করা। কিন্তু সেই দিকে রয়েছে নানা সীমাবদ্ধতা। তাহলে কিভাবে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাঙ্কিং প্রথম দিকে থাকবে?

মানববন্ধনে ফরিদ আহম্মদের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্টার ইউনিটির সভাপতি মর্তুজা নূর, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি সুজন আলী, প্রেস ক্লাবের সভাপতি মানিক রায়হান বাপ্পী, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জয়সহ সংগঠনের অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ। এসময় প্রায় ক্যাম্পাসে কর্মরত অর্ধশতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার অভিযোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ১১ সেপ্টেম্বর সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও আরও ছয় শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়। এ ঘটনার একটি ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী আলোচনার সৃষ্টি হয়। পরে বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য ওই শিক্ষার্থীর বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করে নেয়।

 


শর্টলিংকঃ