Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

বাংলাদেশকে ধর্মীয় সম্প্রীতির রোল মডেল আখ্যা দিলেন মোদি


বাংলাদেশকে ধর্মীয় সম্প্রীতির রোল মডেল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি মানুষ কীভাবে শান্তিপূর্ণভাবে মিলেমিশে ধর্মীয় সম্প্রীতির সঙ্গে বাস করছে তা প্রত্যক্ষ করতে বিশেষজ্ঞদের বাংলাদেশ সফর করা উচিত।’

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন। খবর বাসসের।

বৈঠকে শেখ হাসিনার সন্ত্রাসবাদ ও ধর্মীয় উগ্রবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির ভূয়সী প্রশংসা করেন নরেন্দ্র মোদি।বুধবার আয়োজিত বাংলাদেশ ও ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সপ্তম বৈঠকে অংশ নিতে মঙ্গলবার দিল্লি পৌঁছান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।বৈঠকের শুরুতে ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের অকাল মৃত্যুতে মন্ত্রী গভীর শোক প্রকাশ করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে মোদি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদ্‌যাপনে বাংলাদেশ সরকার গৃহীত কর্মসূচির অংশীদার হতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি টানা তিন মেয়াদের জন্য প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা যেন ভারতসহ অন্যান্য দেশের ক্ষতি করতে না পারে সে লক্ষ্যে বাংলাদেশের গৃহীত নীতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের সহায়তা চাওয়া হলে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, ভারত সরকার রোহিঙ্গা সমস্যাটি ইতিমধ্যেই মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করেছে। ভারত মনে করে সমস্যাটি অবশ্যই সমাধান করতে হবে।

মোদি বাংলাদেশে ঠাঁই নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য আবারও মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে বাংলাদেশি মন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন।

বৈঠকে আসাদুজ্জামান উভয় দেশের সীমান্তে মাদকসহ সব চোরাচালান বন্ধে ভারত সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন। এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী সীমান্তে মাদক চোরাচালান, সন্ত্রাসবাদ ও অন্যান্য অপরাধ রোধে একটি নিরাপদ ও কার্যকর সীমান্ত প্রতিষ্ঠায় দুই দেশ এক সঙ্গে কাজ করবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বিমসটেক এই অঞ্চলের শান্তি ও উন্নয়ন কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে মোদি আশা প্রকাশ করেন।

এ সময় ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, সুরক্ষা সেবা বিভাগের মো. শহিদুজ্জামান, আইজিপি মো. জাভেদ পাটোয়ারী উপস্থিত ছিলেন।


Exit mobile version