Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

বাংলাদেশে জরুরি অবস্থা জারির পরামর্শ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার


ইউএনভি ডেস্ক: 

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে প্রয়োজনে জরুরি অবস্থা জারির পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। একইসঙ্গে ঢাকাসহ সারাদেশের কোথাও কোথাও লকডাউন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আশকোনা হজ ক্যাম্পে ইতালি থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশিরা। ছবি: ফাইল, ফোকাস বাংলা

শনিবার নিজ বাসভবনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এসব তথ্য জানান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

মেয়র বলেন, আমাদের কাছে মনে হয়েছে, বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি আগামীতে ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। এটাকে প্রতিরোধের জন্য এখনই সর্বশক্তি দিয়ে মোকাবিলা করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কিছু কিছু এলাকা আংশিক লকডাউন করা হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও পুরোপুরি লকডাউন করা হয়েছে। অনেক দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছে। লকডাউন এবং জরুরি অবস্থা ঘোষণা করায় তারা ভালো ফল পেয়েছে। সে দেশগুলোতে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ধীরগতি হয়েছে। কোথাও কোথাও আক্রান্তের সংখ্যা কমে এসেছে। আবার কোথাও কোথাও শূন্যতে চলে এসেছে।

আরও পড়ুনঃ ঢাকার স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নে ১৭ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক

তিনি বলেন, ঢাকা একটি জনবহুল শহর। বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ। এখানে সম্পূর্ণ লকডাউন করা কঠিন। তারপরও তারা (ডব্লিউএইচও) ঢাকা কিংবা অন্য কোনও এলাকা আংশিক লকডাউন অথবা ইমার্জেন্সি (জরুরি অবস্থা) ঘোষণা করা যায় কিনা সে বিষয়ে আমাদের পরামর্শ দিয়েছে। সেটি আমরা সরকারের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে পৌঁছে দেব।

ঢাকায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আবাসিক প্রতিনিধি ড. বর্ধন জং রানা বলেন, আমরা তো কোনও সিদ্ধান্ত দিতে পারি না। এটা রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের বিষয়। আমরা কেউ ঝুঁকির বাইরে নেই।

বৈঠকে ছিলেন, ঢাকায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আবাসিক প্রতিনিধি ড. বর্ধন জং রানা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সি প্রধান ডা. ইআই সাক্কা হাম্মান, ইউএস সিডিসি কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ মিহাল এ ফ্রাদমান, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক প্রফেসর ডা. এবিএম আব্দুল্লাহসহ আরো অনেকে।

এদিকে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২৪ জন হয়েছে। মৃত্যুও বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুইজনে।


Exit mobile version