Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ’৭১-র রক্তের রাখিবন্ধনে আবদ্ধ


ইউএনভি ডেস্কঃ

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের উন্নয়নে যেমন প্রয়োজন অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা, তেমনি প্রয়োজন প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে কোনো দেশই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক রেখে এগুতে পারে না।


শেখ হাসিনা সরকার ও ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকারের সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। বাংলাদেশ-ভারত দু’দেশের সম্পর্ক ৭১’র রক্তের রাখিবন্ধনে আবদ্ধ।মঙ্গলবার সকালে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্মাষ্টমী পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সংসদ ভবন এলাকার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভালো বোঝাপড়া থাকলে অনেক অমীমাংসিত ইস্যু সহজেই সমাধান সম্ভব, যার প্রমাণ বাংলাদেশ ও ভারত। দীর্ঘদিনের সীমান্ত সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে ছিটমহল বিনিময় সমাধান দু’দেশের পারস্পরিক আস্থাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের সমুদ্র জয়ের মামলায় ভারত আপিল না করে বন্ধুসুলভ যে আচরণ করেছে তা সম্পর্কের সূত্রকে করেছে আরও সুদৃঢ়। তিস্তা সমস্যা ও অন্যান্য নদীর পানি বণ্টনের আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের ভয়ের কোনো কারণ নেই জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, মাঝেমধ্যে বিচ্ছিন্নভাবে একটি অশুভ চক্র, একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এ দেশের হাজার বছরের ঐতিহ্যে আঘাত হানার অপচেষ্টা করে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলের চিত্র তুলে ধরে সেতুমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কী অমানুষিক নির্যাতন নেমে এসেছিল তা নিশ্চয়ই মনে আছে?

যে নির্যাতন একাত্তরের পাক হানাদারদের নির্যাতনকেও মনে করিয়ে দেয়। তাদের অপচেষ্টা এখনও চলছে, ইতোমধ্যেই তাদের বিষদাঁত ভেঙে দেয়া হয়েছে বলে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই, তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এদেশে যারা হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতির সূচনা ও লালন করেছিল এবং সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষকে বড় করে তুলেছিল তারাই হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের জীবন ও সম্পদের ওপর বারবার আঘাত হেনেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য আজ উৎসবের দিন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন। আজ এ আনন্দের দিনে সনাতন ধর্মের অনুসারীদের আমি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। তিনি বলেন, শ্রীকৃষ্ণের প্রতিটি উপদেশ আজও প্রাসঙ্গিক। প্রতিটি ধর্মই নীতিবোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত। প্রত্যেকে নিজ নিজ ধর্মের অনুশাসন মেনে চললে ব্যক্তি জীবন যেমনি আলোকিত হবে তেমনি সামাজিক হানাহানি বন্ধ হয়ে গড়ে উঠবে শান্তিময় মানবিক সমাজ। আসুন আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে সে সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করি।


Exit mobile version