রাজশাহীতে দুই দফা দাবীতে বাকাসস ’র কর্মবিরতি


নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাজশাহীতে ২ ঘন্টা কর্ম বিরতি পালন করেছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মচারীরা। সকাল ০৯ টায় কর্মচারীরা অফিসে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে কর্মবিরতি পালন করে। যথারীতি তা চলে টানা বেলা ১১ টা পর্যন্ত। এ সময় ভোগান্তিতে পড়েন সেবা নিতে আসা জনসাধারণ। বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতি (বাকাসস) এর কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে পালন করা হচ্ছে।

বাকাসস

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মচারীরা জানান, বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়ে কর্মবিরতি বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতি (বাকাসস) এর কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে পালন করা হচ্ছে।

তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের পদবী পরিবর্তন ও বেতন বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতি (বাকাসস) এর নির্দেশনা অনুযায়ী তারা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এ আন্দোলনের কর্মসূচি পালন করছে বলে জানান তারা।

উল্লেখ্য, গত ১৬/১/২০২০ খ্রি. তারিখ বেলা ২.০০ টার সময় জেলা প্রশাসক, রাজশাহীকে তাঁদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায়ের জন্য কর্মবিরতীসহ কেন্দ্রীয়ভাবে গৃহিত বিভিন্ন কর্মসূচি দাখিল করে।এ সময় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, রাজশাহী এর সকল শাখার কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতি (বাকাসস) এর কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সম্মেলন ২০১৯ এ গৃহিত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য রাজশাহী কালেক্টরেট এর কর্মচারীরা জেলা প্রশাসক, রাজশাহীকে তাঁদের বিভিন্ন দাবী দাওয়া আদায়ের জন্য গৃহিত কর্মসূচি হাস্তান্তর করেছেন।

বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়ে কর্মরত ৩য় শ্রেণির কর্মচারীদের পদের বেতনস্কেল ও পদনাম পরিবর্তনের দাবিতে বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতি (বাকাসস) দীর্ঘদিন ধরে এই আন্দোলন করে আসছে।

বিভিন্ন সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে মর্মে কর্মচারীগণ জানান। এ বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ নানা প্রকার আশ্বাস প্রদান করলেও কোন দাবি দাওয়া বাস্তবায়নের কোন অগ্রগতি না হওয়ায় বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতি (বাকাসস) কঠোর আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।

এর ধারাবাহিকতায় আগামী ২০ জানুয়ারি, ২০২০ হতে ২৮ মার্চ, ২০২০ তারিখ পর্যন্ত কেন্দ্রীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দীর্ঘদিন ধরে তারা পদ ও বেতন বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে, তারা জানান, ভূমি অফিসের তহশিলদারসহ ২১টি দপ্তরের বিভিন্ন পদ-পদবি পরিবর্তন ও বেতন স্কেল বাড়ানো হয়েছে কিন্তু তাদের পদ ও বেতন স্কেলের কোন পরিবর্তন হয়নি।

বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়ে কর্মরত ১৩তম গ্রেডের অফিস সুপার, সিএ কাম ইউডিএ, প্রধান সহকারী, ট্রেজারি হিসাবরক্ষক ও উচ্চমান সহকারীদের দশম গ্রেডের প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে এবং ১৬তম গ্রেডের অফিস সহকারী ও সমপদধারীদের ১১তম গ্রেডের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে উন্নীত করতে হবে বলে তাদের দাবি।

আরও পড়ুন  ‘১ কোটি বাংলাদেশি মুসলিমকে ফেরত পাঠানো হবে’


শর্টলিংকঃ