বাগমারায় এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংবর্ধনা


বাগমারা প্রতিনিধি:

রাজশাহীর বাগমারা আসনের সংসদ সদস্য বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী সালেহা-ইমারত ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক বলেছেন, সকল প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজ মহাক্ষণে কৃতি শিক্ষার্থীরা। যারা শত বাধা ভেঙ্গে অর্জন করেছে শিক্ষা জীবনের মহাকৃতিত্ব। সেই কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ আজ তাদেরকে দেয়া হচ্ছে সালেহা-ইমারত ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১৫৭ জন কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা।

শিক্ষার্থীদের এটা শুধু লোক দেখানো সার্টিফিকেট অর্জন নয়। সার্টিফিকেটের বাস্তব রুপ দিতে হবে। লেখাপড়া শেষ করে মানুষের মতো মানুষ হয়ে দেশ ও দশের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করতে হবে। লেখাপড়ার পাশাপাশি মা-বাবার প্রতি খেয়াল রাখা প্রতিটি সন্তানের নৈতিক দায়িত্ব। তিনি আরো বলেন, ২০০৬ সাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত সকল শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হচ্ছে। যাদের অনেকে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে কাজ কর্মে যোগ্যতার সাক্ষর রেখেছেন। উজ্জ্বল হয়েছে তাদের ভবিষ্যৎ। শিক্ষার্থীদের মেধার প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এই সংবর্ধনার মধ্যে দিয়ে।

প্রতিবারের ন্যায় এবারও দেয়া হলো কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে সংবর্ধনা প্রদান করা হচ্ছে। শনিবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান উপলক্ষে উপজেলার সালেহা-ইমারত কোল্ড স্টোরেজ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাঃ মোকবুল হোসেন বলেছেন, আলো ছাড়া আলো জ্বালানো যায় না। সেই আলোই হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। যিনি এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ভবিষ্যতের কর্ণধার শত শত মেধাবী শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান করে আসছেন। ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের মতো সবাই যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখে তাহলে দ্রুত উন্নয়নশীল দেশে রুপান্তিরিত হবে বাংলাদেশ।

তিনি আরো বলেন, বাগমারা যেন প্রকৃত বাংলা। এই জনপদের সৌন্দর্য অপরুপ। বাগমারায় এসে আমার অন্তর জুড়িয়ে গেছে। নেতা তিনিই যিনি দেশ ও দশের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করে দেন। ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের হাতেই পরিবর্তন হয়েছে বাগমারা। একজন মহৎ মানুষের চিন্তা দেশ ও দেশের মানুষ কল্যাণ কামনা। যেমনটি চেয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কোন জাতিকে বাঁচাতে হলে সর্বপ্রথম গ্রামের লোকজনকে বাঁচাতে হবে। গ্রামই হচ্ছে উন্নয়নের প্রাণ। যেটা নিয়ে ভাবেন এবং গ্রামের মানুষের মূল্যায়ন করেন ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। শেষে কৃতি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ সাফল্য কামনা করেন। সেই সাথে দেশের কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানান।

উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার আবুলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিসেস তহুরা হক। অন্যান্যেও মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুদকের সাবেক পরিচালক প্রফেসর ড. আবুল হাসান, বাগমারা উপজেলা চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার, সাংসদের ছেলে মুফতাসিম হক তাশদীদ, মোহনগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ তরফদার, কৃতি শিক্ষার্থীদের মাহফুজা খাতুন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফ আহম্মেদ, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ডেপুটি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আব্দৃর রহিম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস,এম, মাহমুদ হাসান, জেলা আ’লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ কুমার প্রতীক দাশ রানা, উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি মতিউর রহমান টুকু, আফতাব উদ্দীন আবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দন সুরুজ, সহ-দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, আ’লীগ ও অংগ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে মোহনগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ, বাগমারা ডিগ্রী কলেজ, বালানগর কামিল মাদ্রাসা, হাট-গাঙ্গোপাড়া বিএম কারিগরি কলেজ, কাতিলা সবুজ সংঘ আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজ, বেল ঘরিয়া হাট ফাজিল মাদ্রাসা ও ভবানীগঞ্জ কারিগরি ও ব্যবস্থাপনা কলেজ ফলাফলে সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় সালেহা-ইমারত ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।

 


শর্টলিংকঃ