বাগমারায় দীঘিতে বিষ প্রয়োগ, মামলা তুলে নিতে প্রাণনাশের হুমকি


বাগমারা প্রতিনিধি:

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের কনোপাড়া গ্রামের সবসার দীঘি ও পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে এক কোটি বিশ লাখ টাকার মাছের ক্ষতি সাধন করে দুর্বৃত্তরা। কনোপাড়া গ্রামের সবসার নামে একটি দীঘি ও তার পাশে একটি পুকুরে বুধবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় দুর্বৃত্তরা বিষ প্রয়োগ করে এই ক্ষতি সাধন করে।

 

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে বাগমারা থানায় ৭ জানের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে পুকুরের মালিক মকছেদ আলী। ওই মামলায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে কনোপাড়া গ্রামের সজলের ছেলে বাবু (৩৫) এবং আলতাফের ছেলে আফজাল (৪০) কে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাগমারা থানা এসআই শাহীন।

এদিকে আটককৃত বাবু এবং আফজালকে শুক্রবার বেলা ২ টার দিকে রাজশাহী কোর্টে প্রেরণ করে বাগমারা থানা পুলিশ। শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে বাড়িতে চলে আসে আসামীরা। বাড়িতে এসেই মামলার বাদী মকছেদ আলীকে মামলা তুলে নিতে বল প্রয়োগ করে তারা। থানা থেকে মামলা না উঠালে বাদীর প্রাণনাশের হুমকী সহ তার ব্যবসায়ের বড় ক্ষতি সাধন করবে বলে ভয়ভীতি প্রদান করে আসছে। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আসামীদের এমন হুমকী কারনে নিরুপায় হয়ে শনিবার বাগমারা থানায় তাদের বিরুদ্ধে আবারও একটি সাধারণ ডায়রী করেছে মকছেদ আলী।

৫ বছরের জন্য সবসার দীঘি ও তার পাশে একটি পুকুর ইঞ্জি: এনায়েতুল্লাহর কাছ থেকে লিজ গ্রহণ করে মাছ চাষ শুরু করে মকছেদ আলী নামে এক ব্যক্তি। এতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দীঘি ও পুকুরে ভারতীয় বিষ (ট্যাবলেট) ব্যবহার করে লিজ গ্রহীতা মকছেদ আলীকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দীঘি ও পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে ক্ষতি সাধন করেছে তারা। বিষ প্রয়োগের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শত শত এলাকাবাসী দীঘি ও পুকুর পাড়ে এসে ইচ্ছামত ভেসে ওঠা মাছ নিয়ে যায়।

বিষয় প্রয়োগের খবর দীঘির পাড়ের লোকজনেরা বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে লিজ গ্রহীতা মকছেদ আলীকে জানায়। খবর পেয়ে মকছেদ আলী দীঘি ও পুকুরের কাছে এসে এমন পরিস্থিতি দেখে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে স্থানীয়দের চিকিৎসায় তার জ্ঞান ফিরে আসে। এমন ঘটনা মকছেদ আলী বাগমারা থানার ওসিকে মোবাইল ফোনে জানান। বিষ প্রয়োগ করে এক কোটি বিশ লাখ টাকার অধিক মাছের ক্ষতি সাধন করেছে। খবর পেয়ে বাগমারা থানার এসআই শাহিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখেন।

এ ঘটনায় লিজ গ্রহীতা মকছেদ আলী জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আশেপাশের লোকজনেরাই আমাকে আর্থিকভাবে বড় ধরণের ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্যই তারা দীঘি ও পুকুরে একযোগে বিষ প্রয়োগ করেছে। বিষ প্রয়োগের ঘটনায় শত শত মন মাছ এলাকাবাসীরা নিয়ে গেছে। কিছু মাছ পানির নিচে তলিয়ে গেছে। আমি আর্থিকভাবে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছি।

এ ঘটনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাগমারা থানার এসআই শাহীন বলেন, বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

 


শর্টলিংকঃ