বাঘার তেঁথুলিয়া-দিঘা সড়কে পুকুর খননের মাটিতে পথচারীদের দূর্ভোগ


বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার তেঁথুলিয়া-দিঘা সড়কে পুকুর খনন মাটিতে পথচারীদের দূর্ভোগে পড়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর এ ভোগান্তি দেখা দিয়েছে। ফলে এ পথ দিয়ে চলাচলকারিরা পড়েছেন বেকায়দায়। স্থানীয় শিশুরা পথচারিদের সতর্ক করতে দেখা গেছে। কিন্তু প্রশাসনের এ বিষয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই।


জানা যায়, উপজেলার তেঁথুলিয়া-দিঘা সড়কের পাশ দিয়ে পুকুর খনন চলছে। এ পুকুর খননের মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সড়ক দিয়ে। এ মাটি রাস্তায় পড়ছে। তারপর বৃষ্টি হওয়ায় কাদা মাটিতে একাকার হয়ে পথচারীরা দূর্ভোগে পড়েছে। তবে এ বিষয়ে স্থানীয় শিশুরা সতর্ক করায় অনেকে এ পথ দিয়ে না গিয়ে ঘুরে যাচ্ছে। কিন্তু এ বিষয়ে দেখার কেউ নেই। এ বৃষ্টিতে জীবনে স্বস্তি আসলেও এ পথ দিয়ে চলাচলকারীদের দূর্ভোগে পড়তে হয়েছে।

বাঘা উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক প্রভাষক মুজিবুর রহমান বলেন, উপজেলার অনেক এলাকাতেই পুকুর খনন চলছে। এ পুকুর খননের মাটি ট্রাক্টর দিয়ে বিভিন্নস্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ কারণে পাঁকা রাস্তার উপরে মাটি পড়ায় বৃষ্টির পানিতে রাস্তায় চলাচলকারি পথচারীদের জন্য বিপদজনক হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে বিকেলে সাড়ে ৪টায় দিঘা বাজারের কথা হয় ঔষধ কম্পানীর সেল্সম্যান উজ্জল হোসেনের সঙ্গে, তিনি বলেন, ভাই অনেক কষ্টে জীবনে ঝুঁকি নিয়ে দিঘা তেঁখুলিয়া বাজার থেকে দিঘা বাজারে আসলাম। অমরপুর মোড় থেকে রাস্তার যে অবস্থা চলাচল করা খুবই কষ্টসাধ্য। আমি আসার পথে দুইজন মটরসাইকেল চালককে পড়ে থাকতে দেখেছি।

প্রেমতলি সাধুর বাজারের পল্লী চিকিৎসক মতিউর রহমান কালু বলেন, অমরপুর গ্রামের কয়েকটি শিশু রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে মটরসাইকেল চলকদের সর্তক করতে দেখেছি। তারপরেও একটি ট্রাক রাস্তার নিচে পড়ে আছে। অনেক লোক রাস্তা পরিবর্তন করে বিকল্প পথে যাবার পরার্মশ দিয়েছি।

এ বিষয়ে বাউসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান শফিক বলেন, বৃষ্টির পরে রাস্তায় অবস্থা খুবই খারাপ। রাস্তায় চলাচলকারি মানুষের ভোগান্তির কথা শুনেছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া উচিত।


শর্টলিংকঃ