- ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ - https://universal24news.com -

বাঘার পদ্মায় পানি কমতে শুরু করেছে


বাঘা প্রতিনিধি:
অবশেষে পদ্মায় পানি কমতে শুরু করেছে। দুই দিন থেকে পানি কমতে শুরু করে। পদ্মার চকরাজাপুর এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পদ্মার আরো ২ সেন্টিমিটার পানি কমেছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড।


রাজশাহীর বাঘায় বন্যাকবলিত মানুষে দূর্ভোগ এখনো রয়েছে। পানিবাহিত রোগসহ এলাকায় ব্যাপকভাবে বিষাক্ত সাপের উপদ্রব বেড়ে গেছে। ফলে দুর্ভোগের সাপ আতঙ্ক দেখা দিয়েছে পানিবন্দি মানুষের মাঝে।

চকরাজাপুর চরের বন্যাকবলিত এলাকার ইউনিয়ন সদস্য রেজাউল করিম জানান, বাঘা উপজেলার পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের ১৫টি চরে ৩ হাজার ৭৬২টি পরিবারে প্রায় ১৭ হাজার মানুষ গত ৩ সপ্তাহ ধরে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। প্রায় ২ হাজার পরিবারের বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে। বাড়িঘরে পানি উঠায় বিষাক্ত সাপও ভেসে আসছে।

চকরাজাপুর চরের গোলাম মোস্তফা জানান, বন্যাকবলিত এলাকায় দুর্ভোগ বাড়িয়েছে। মানুষের মধ্যে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ বালাই দেখা দিয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বৃদ্ধ ও শিশুরা।  বাঘা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপ-সহকারি প্রকৌশলী হেকমত আলী বলেন, দুর্গত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই চিড়া, বিস্কুট, তেল, ২ হাজার প্যাকেট ও ৫০ মেট্রিকটন চাল বিতরণ করা হয়েছে।


চকরাজাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বলেন, পদ্মার পানি কমতে শুরু করেছে। ফলে চরের মানুষ ইতিমধ্যে ঘর তৈরী করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। নতুনভাবে ফসল ফলানোর স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। ধারনা করা হচ্ছে এ সপ্তাহের মধ্যেই পানি নেমে যাবে। ঘর নির্মান ও ফসল ফলাতে নতুন করে সরকারের কাছে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, তাদের দুঃখ-দুর্দশা আমি ভাল করে বুঝেই ২৪ ঘণ্টা বন্যার্তদের তদারকি করা হচ্ছে। বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণও বিতরন করা হচ্ছে। বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. লায়েব উদ্দিন লাভলু বলেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করে চরের মানুষের জন্য ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রতিমন্ত্রী সার্বক্ষনিক খোঁজখবর রাখছেন।

রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল আলম বলেন, গত দুই দিনে পদ্মার পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত। দুই দিনে গড় পানির উচ্চতা ছিল ১৮ দশমিক ১৮ মিটার।