বাঘায় কিশোরীকে গণধর্ষণ : গ্রেফতার ৩


বাঘা প্রতিনিধি:

রাজশাহীর বাঘায় এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার দিবাগত রাতে পুলিশ তাদের গ্রেফার করে। কিশোরীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেরর ওসিসিতে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।

অভিযোগে জানা গেছে, প্রেমের সম্পর্কের কারনে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাঘা উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের মানিক হোসেনের ছেলে সুমন হোসেন ওরফে আলামিন (২২) নামের এক যুবক ১৪ বছরের কিশোরী প্রেমিকাকে শনিবার সন্ধ্যায় মাবাইল করে ডেকে নেয়। তার কথা অনুযায়ী প্রেমিক কিশোরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্র চত্বরে আসে এবং তাদের মধ্যে দেখা সাক্ষাত হয়।

কিছুক্ষণ পর প্রেমিক সুমন হোসেন ওরফে আলামিন একটা কাজ আছে বলে তার তিন বন্ধুর কাছে প্রেমিকাকে রেখে চলে যায়। তারপর প্রেমিক সুমন হোসেন ওরফে আলামিন আর ফিরে আসনো। অত:পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের পেছনে রাতভর কিশোরীকে গণধর্ষন করে তারা।

এই ঘটনায় রোববার রাতে কিশোরী বাদি হয়ে বাঘা থানায় ৪ জনকে আসামী করে একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এই মামলার তিনজন আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো-উত্তর মিলিক বাঘা গ্রামের এমদাদ আলীর ছেলে তারেক হোসেন (২৫), মিলিক বাঘা গ্রামের সাদেক আলীর ছেলে আরিফ হোসেন ওরুফে নাসির (২৩), বাজুবাঘা নতুন পাড়া গ্রামের নওসেন আলীর ছেলে সবুজ আলী (২১)। তবে এই মামলার মুল আসামী সুমন হোসেন ওরফে আলামিন পলাতক রয়েছে।

এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একজন পলাতক আছে। তাকেও গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে সোমবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। কিশোরীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেরর ওসিসিতে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।


শর্টলিংকঃ