বাঘায় কোঁচের আঘাতে আহত যুবক


বাঘ প্রতিনিধি:

রাজশাহীর বাঘায় পাঁচার (মাছ মারা পাঁচা) আঘাতে নাসির উদ্দীন নামের এক যুবক আহত হয়েছে। শনিবার বিকেলে উপজেলার খাগড়বাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ভর্তি করা হয়েছে। নাসির উদ্দীন উপজেলার দিঘা গ্রামের মৃত রমিজ উদ্দীনের ছেলে।

ছবি: প্রতীকী

জানা যায়, উপজেলার দিঘা বাজারের স্ট্যান্ডাড ফিডের স্থানীয় ডিলার নামির উদ্দীন। সে স্ট্যান্ডাড ফিডের টেকনিশিয়ান সেলাফি ইসলামের সাথে নিয়ে আড়ানী ইসলামী এজেন্টে ব্যাংকে টিটি করতে যাচ্ছিল। তারা মোটরসাইকেল যোগে খাগড়বাড়িয়ার জিন্দার আলীর বাড়ির কাছে পৌছে। খাগড়বাড়িয়ার গ্রামের মেহেদী হাসান ও তার বাবা আবদুর রাজ্জাক তাদের পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পথরোধ করে। এ সময় তাদের মধ্যে কর্তবির্তকের এক পর্যায়ে পাঁচা দিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশংকা জনক বলে জানান কর্তব্যরত ডাক্তার রিপন আহম্মেদ।

এ বিষয়ে স্ট্যান্ডাড ফিডের টেকনিশিয়ান সেলাফি ইসলাম বলেন, ৪ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা টিটি করার জন্য নাসির উদ্দীন আমাকে নিয়ে ব্যাংকে যাচ্ছিল। এ সময় টাকা কেড়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে পথরোধ করে। এ সময় তাদের টাকা দিতে না চাওয়ায় এক পর্যায়ে পাঁচা দিতে আঘাত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ভর্তি করা হয়েছে।

মেহেদী হাসান বলেন, নাসিরের সাথে এক বছর আগে টাকা পয়সার বিষয় নিয়ে মতবিরোধ চলছিল। তারা দুইটি মোটরসাইকেল নিয়ে আমার বাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় আমাকে দেখতে পেয়ে তারা ধাওয়া করে। আমি তাদের ধাওয়া খেয়ে চিৎকার শুরু করি। এ সময় আমার পিতা মাতা ভাই বোন ও এলাকার লোকজন তাকে পাঁচা, লাঠি, ঝাটা, ইট পাটকেল নিয়ে উল্টো ধাওয়া করে মারপিট করে। তবে তাদের মারপিচে আমিও আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ভর্তি হয়েছি।

বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন এক যুবককে পাঁচা মারার বিষয়ে শুনেছি। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিব।


শর্টলিংকঃ