বাঘায় গুম হওয়া শ্রমিক নিজের ইচ্ছায় থানায় হাজির


বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘায় গুম হওয়া শ্রমিক নিজের ইচ্ছায় থানায় হাজির হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সকালে গুম হওয়া শ্রমিক আমিনুল ইসলাম গুম হয়নি মর্মে থানায় হাজির হয়ে পুলিশের কাছে লিখিতভাবে অবহিত করেন।


জানা যায়, উপজেলার বলিহার গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে আমিনুল ইসলামকে তার স্ত্রী জালেমা বেগম টাকা রোজগার করতে হবে। টাকা রোজগার করতে না পারলে প্রয়োজনে ভিক্ষা করতে হবে। এক পর্যায়ে স্ত্রীর উপর রাগ করে ফরিদপুরে শ্রমিকের কাজে যায়। ফরিদপুরে স্বামী কাজ করছিল এটা জানেন তার স্ত্রী। কিন্তু এ কাজের টাকা তার প্রতিবেশি মৃত মফেল উদ্দিন প্রামানিক ছেলে লালু মিয়াকে দেন ধারনা করেন সে।

এ বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে মতবিরোধ হয়। এক পর্যায়ে মঙ্গলবার (৩ ডিম্বেবর) গুম করে হত্যার অভিযোগে লালু মিয়ার বিরুদ্ধে রাজশাহী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আমিনুলের স্ত্রী জালেমা বেগম বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। আদালতের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান তালুকদার অভিযোগটি আমলে নিয়ে বাঘা থানার ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে আমিনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনাটি বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরে থানায় উপস্থিত হয়ে পুলিশের কাছে লিখিতভাবে অবহিত করেছি, আমি গুম হয়নি, আমি নিজের ইচ্ছায় শ্রমিকের কাজে গিয়েছিলাম। পরে জানতে পারি লালু মিয়ার সাথে আমার বন্ধুত্ব সম্পর্ক থাকার কারনে আমার স্ত্রী তার নামে আদালতে গুম করে হত্যা করা হয়েছে মর্মে, মামলা দায়ের করেছে। আমাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে কারনে অকারনে দ্বন্দ্ব হয়। এতে প্রায় স্ত্রী দ্বারা আমি নির্যাতন হয়।

এ নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষার জন্য ফরিদপুরে শ্রমিকের কাজে গিয়েছিল। বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, আমিনুল নিজের ইচ্ছায় থানায় এসে আমাদের কাছে লিখিতভাবে অবহিত করেন যে, সে গুম হয়নি। তবে এ বিষয়ে মামলা যদি হয়ে থাকে আদালত থেকে নির্দেশ আসলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিব।


শর্টলিংকঃ