বাঘায় দোলেনা হত্যা মামলার আসামীসহ আটক ৪: ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন


বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘায় দোলেনা বেগম হত্যা মামলার আসামীসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাতে তাদের নিজ নিজ এলাকা থেকে বাঘা থানার পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে আটক করে। তবে আসামীদের ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।


জানা যায়, ১০ জুন সন্ধ্যায় বাঘা থানার পুলিশ চকবাউসা গ্রামের মাঠে ভূট্টা ক্ষেত থেকে মুখে পোড়া মবিল মাখানো দোলেনা বেগম (৩৮) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। দুই দিন পর ১২ জুন ওই লাশের পরিচয় মেলে। দোলেনা বেগম চারঘাট উপজেলার সারদা চারাবটতলা এলাকার সুরুজ মিয়ার স্ত্রী।

দোলেনা বেগমকে অপহরনের পর হত্যা করা হয়েছে বলে সুরুজ মিয়া বাদী হয়ে বাঘা থানায় তিন জনের নাম উল্লেক করে আরো ৩/৪ জন অজ্ঞাত আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ মামলার আটককৃত আসামী চারঘাট উপজেলার পান্নাপাড়া গ্রামের কুরমান আলীর ছেলে উজ্জল হোসেন, বাঘা উপজেলার চকবাউসা গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে রবিউল ইসলাম, সন্দেহভাবে পাঁচপাড়া গ্রামের তাহের সরদারের ছেলে শফিকুল ইসলাম। এছাড়া এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী উপজেলার আলাইপুর গ্রামের খাজের আলীর ছেলে মিজানুর রহমানকে আটক করেছে পুলিশ।


দোলেনা বেগমের স্বামী সুরুজ মিয়া বলেন, ৯ জুন আমার অনুপস্থিতিতে স্ত্রীকে অপহরন করে নিয়ে যায় তারা। তারপর থেকে বিভিন্নস্থানে খোঁজ খবর করে পায়নি। ফলে আমি বাদী হয়ে চারঘাট থানায় একটি অভিযোগ করি। পরে জানতে পারি বাঘা থানায় একটি লাশ পাওয়া গেছে এবং দাফন সম্পূর্ণ হয়েছে। পরে পুলিশের কাছে ছবি দেখে চিনতে পারি এবং এ লাশ আমার স্ত্রী দোলেনার।


দোলেনা বেগমের বাবা এসাহাক হোসেন বলেন, বিয়ের পর থেকে জামাই মেয়ে আমার বাড়িতে আছে। তাদের মধ্যে কোন অমিল চোখে পড়ে। ৯ জুন জামাই এর অনুপস্থিতিতে উল্লেক্ষিত আসামীরা আমার ৯ বছরের নাতীর সামনে থেকে কৌশলে অপহরন করে নিয়ে যায় এবং হত্যা করে চকবাউসা গ্রামের লালু প্রামানিকের ভূট্টা ক্ষেতে লাশ ফেলে রাখে।

পরে পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে ছবি দেখে মেয়ের লাশ সনাক্ত করি। এ বিষয়ে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহসীন আলী জানান, হত্যা মামলার ৩ জন আসামীকে আটক করা হয়েছে। আদালতে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।


শর্টলিংকঃ