বাঘায় যৌতুক দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন


বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ

রাজশাহীর বাঘায় সেনা সদস্য স্বামী মাসুদ রানার নির্যাতনে স্ত্রী সাদিয়া আক্তার ইভা হাসপাতালের বেড়ে কাতরাচ্ছে। এই ঘটনায় রোববার (১৯ জুলাই) বাঘা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।


জানা যায়, বাঘা উপজেলার জোতনশী গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে সেনা সদস্য মাসুদ রানার সাথে নারায়নপুর গ্রামের ইব্রাহীম হোসেনের মেয়ে সাদিয়া আক্তার ইভার ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাকে কারনে অকারনে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হতো। এক পর্যায়ে ৭ জুলাই ছুটিতে বাড়িতে আসে। এ সময় তার স্ত্রী পিতার বাড়িতে ছিল। পরের দিন ৮ জুলাই পিতার বাড়ি থেকে পরিবারের লোকজন স্বামীর বাড়িতে আনা হয়।

তারপর থেকে ১০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করা হয়। এর এক পর্যায়ে শনিবার (১৮ জুলাই) দুপুরের ওই টাকার জন্য প্রচন্ডভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয়। গরীব পিতার পক্ষে এই টাকা দেয়া সম্ভব না বলে জানিয়ে দেয়া হয়। তারপর নির্যাতনের মাত্র বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে কোমরের বেল্ট দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট শুরু করে মাসুদ রানা। এই মারপিটের বিষয়টি পিতার পরিবারকে জানানো হয়। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে বাঘা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে সাদিয়া আক্তার ইভার পিতা বাদি হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

এ বিষয়ে সেনা সদস্য মাসুদ রানার সাথে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। সাদিয়া আক্তার ইভা জানান, আমার স্বামী অন্য এক মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। তাকে বিয়ে করলে ১০ লক্ষ টাকা পাবে। আমার পিতার কাছে থেকে যদি ১০ লক্ষ টাকা এনে দিতে পারি, তাহলে ওই মেয়েকে বিয়ে করবে না।

এমন কথা বলে আমাকে নির্যাতন করা হয়। আমি গরীর পিতার মেয়ে। নিরুপায় হয়ে সহ্য করে সংসার করার চেষ্টা করেও পারলাম না। আমি এর বিচার দাবি করছি।
বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, বিয়ে বিষয়ের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


শর্টলিংকঃ