বাঘায় সরকারী অনুদান প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ


নিজস্ব প্রতিবেদক :

বাঘা উপজেলার পাকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফকরুল হাসান বাবলু ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মাতৃত্বকালীন ভাতা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, ভিজিডি, প্রতিবন্ধী কার্ডসহ সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা প্রদানে উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ইউনিয়নটির বাসিন্দারা। মঙ্গলবার বিকেলে কিশোর পুর উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

প্রতিবাদ সমাবেশে ভুক্তভোগীরা নিজেদের অভিযোগ ও সরকারী অনুদান প্রদানে নানা অনিয়ম তুলে ধরে জানান, পাকুড়িয়া উইনিয়নের চেয়ারম্যান ফকরুল হাসান বাবলু, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মোজাম্মেল হক ভাদু ও চৌকিদার মান্নান মাতৃত্বকালীন ভাতা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, ভিজিডি, প্রতিবন্ধী কার্ড, ওয়ার্ড সমূহে টিউবঅয়েল স্থাপনসহ সরকারের সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় অনুদানের সুযোগ করে দিতে সংশ্লিষ্ট হতদরিদ্রদের কাছ থেকে উৎকোচ নিয়েছে। এছাড়া অর্থের বিনিময়ে নিয়মবহির্ভুত ভাবে এই জনপ্রতিনিধিরা বেশকিছু বিত্ত্ববানদের এ সুযোগ করে দিয়েছেন।

পাকুরিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা সুকুর আলী জানান, তার বাবা বয়স্ক এবং তাদের আর্থিক অনটনে সংসার চালাতে হয়। সরকারের বয়স্ক ভাতার জন্য সে তারা বাবার জন্য কার্ড করার জন্য ইউনিয়নটির মেম্বার ভাদুকে ২হাজার ৭০০ টাকা দিয়েছেন। একই অভিযোগ করে পান্না সরকার জানান মান্নান চৌকিদার তার বাবার নামে বয়স্ক ভাতার কার্ড করার জন্য ৩হাজার টাকা দিয়েছেন। টাকা দিলেও এই দুজনের বাবার নামে বয়স্ক ভাতার কোন কার্ড ইসু করা হয়নি। আর মলয়া বলেন, আমারা সংসার চলে কষ্টে। কয়েক মাস আগে আমার বাচ্চা হবার সময় আমি মাতৃত্ত্বকালীন কার্ডের জন্য আবেদন করেও পাইনি। তবে চেয়াম্যানের কথা মতো আমি একজনকে টাকা দিয়েছি।

ইউনিয়নটির ৭নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা মনসুর রহমান সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, সরকার গরিব-দু:খিদের নিরাপত্তার জন্য আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। তবে ফকরুল হাসান বাবলু চেয়ারম্যানের সহযোগীতায় তার সহযোগীরা সরকারের এই আর্থিক সুবিধা করে দেয়ার নামে গরিবদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আর টাকা হাতিয়ে নিয়েও তারা কার্ডের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে না। এসময় তিনি সরকারের স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি তদন্তের অনুরোধ জানান।

এদিকে ইউনিয়নটির মেম্বার মোজাম্মেল হক ভাদু তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগের কথা অস্বিকার করে বলেন, যারা এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছে তারা নিজেদের কিছু লোকেদের নামে মাতৃত্বকালীন কার্ড ইসু করাতে চেয়েছিলো। তবে নিয়ম মেনে কার্ড ইসু হওয়ায়, তাদের দেয়া লিস্টের মানুষগুলোর নামে কার্ড ইসু না হওয়ায় তারা এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছে। আর ইউনিয়নটির চেয়ারম্যন ফকরুল হাসান বাবলু অভিযোগের বিষয়টি অস্বিকার করে উল্টো চ্যালেঞ্চ ছুড়ে বলেন, আমি টাকা নিয়েছি এটা কেও আমরা সামনে এসে বলুক। তিনি আরো জানান, এবার সকল পর্যায়ের পর্যবেক্ষণ শেষে কমিটি ৩০৬টি মাতৃত্বকালীন কার্ড ইসু করেছে। এখানে কোন অনিয়ম করা হয়নি। অভিযো বিষয়ে তিনি জানান, যারা এই আয়োজন করছে তাদের স্বার্থ চরিতার্থ না হওয়ায় এটি করেছে।


শর্টলিংকঃ