- ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ - https://universal24news.com -

বানেশ্বরে জমে উঠেছে আমের বাজার


মাহফুজুর রহমান তুহিন, বানেশ্বর :

দিনভর রোদ আর বৃষ্টির লুকোচুরির মধ্যে জমে উঠতে শুরু করেছে রাজশাহীর বিখ্যাত আমের বাজার বানেশ্বর। ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে এবার আমের ক্ষতি হলেও ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় খুশি চাষিরা।

রাজশাহীর সবচেয়ে বড় আমের হাট বসে পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজারে। এ বাজারের আশপাশের সড়কগুলোতে এখন শুধুই আম আর আম। যেদিকে চোখ যাবে চোখে পড়বে আমভর্তি ভ্যান। বাগানের কাঁচা-পাকা আম নিয়ে সব ভ্যানের গন্তব্য বানেশ্বর বাজার।

মঙ্গলবার সকালে হাটে গিয়ে দেখা গেল, বাজারে উঠেছে নানা জাতের আম। খোলা আকাশের নিচে ভ্যানের ওপর সাজিয়ে আম বিক্রি করছেন কয়েকশ’ ব্যবসায়ী।

সপ্তাহের সাত দিনই এখন ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় মুখরিত বাজারটি। রোজার মধ্যেও কেনা-বেচায় ব্যস্ততা। গোপালভোগসহ নানা জাতের আম এই বাজার থেকেই যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। বানেশ্বর বাজারের আশপাশে রয়েছে অন্তত ৫০টি আমের আড়ৎ। বেশ কয়েকটি আড়ৎ ঘুরে দেখা গেল, সবগুলোই ভরে উঠেছে গায়ে আঠা লেগে থাকা টাটকা আমে।

কামাল হোসেন নামে এক আড়তদার জানান, এখন আড়তে যেসব আম আছে, তার সবই গাছপাকা। দূর-দূরান্তে পাঠানোর জন্য একটু শক্ত থাকতেই গাছ থেকে নামানো হয়েছে। এবার ঝড়ে আমের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার কারণে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে আম। তবে উৎপাদনে কমতি নেই বলেও জানান তিনি।

বানেশ্বর হাটের আম ব্যবসায়ী আশিক বলেন, রমজানের কারণে দেশের সব জায়গায় এখন আমের ব্যাপক চাহিদা। তাই হাটে তোলার সঙ্গে সঙ্গেই আম শেষ হয়ে যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবসায়ীরা এখানে এসে আম কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। রাজশাহীর অনেক মানুষও আম কিনে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের কাছে পাঠাচ্ছেন।

এদিকে হাটের একপাশে জমে উঠেছে আম পাঠানো ঝুঁড়ির ব্যবসা। কেউ কেউ শুরু করেছেন খড় এবং চিকন দড়ির ব্যবসা।

সোহেল রানা নামে এক ব্যবসায়ী জানান, ক্রেতার আম কেনা হলে তারা ঝুঁড়িতে ভরে সেলাইও করে দিচ্ছেন। ঝুঁড়ির দাম ধরা হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। সেলাইসহ সব মিলিয়ে নিচ্ছেন ৫০ টাকা।

আম ব্যবসায়ীরা জানান, গোপালভোগ ৯০০ টাকা, কাচা মিঠা এক হাজার, গুটি এক হাজার টাকা মণ দরে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। বাজারে আর অন্য কোনো জাতের আম এখনও ওঠেনি। তাই আমের এ দাম আরো অন্তত সপ্তাহখানেক স্থায়ী থাকবে বলে জানান তারা। এ ধরনের দাম পেলে চাষিরা লাভবান হবেন বলেও ব্যবসায়ীরা জানান।