বানেশ্বর বাজারে আমের সমাহার, প্রতিদিন বিকিকিনি কোটি টাকা


আবু হাসাদ,পুঠিয়া:

এ বছর মধু মাস জৈষ্ঠ্যের শেষে জমে উঠেছে রাজশাহী জেলার সর্ববৃহৎ আমের মোকাম পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজার। পুরো বাজার থেকে এখন পাকা আমে মৌ মৌ মিষ্টি ঘ্রাণ ভেসে আসছে। কাক ডাকা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে বিভিন্ন বাহারী আমের সমাহার।

প্রভাবের কারণে এবার এখনো গোপালভোগ, ক্ষীরসাপাত ও ল্যাংড়া আমে বাজার পরিপূর্ণ। তবে দেশের বিখ্যাত ফজলি আম সবে মাত্র ভাঙ্গা শুরু হয়েছে। রাজধানীসহ সারা দেশে জেলার সর্ববৃহৎ আমের মোকাম বানেশ্বর বাজারের সুনাম ছড়িয়ে আছে। বিক্রেতা ও বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীদের সমাগমে বর্তমানে পরিপূর্ণ হয়ে থাকে আমের মোকাম। প্রতিদিন এই মোকাম থেকে আম কেনা-বেচায় লেনদেন হচ্ছে কয়েক কোটি টাকা। এই বাজার ঘিরে প্রায় সকল বেসরকারী ব্যাংকের শাখা অফিস রয়েছে। তাছাড়া পুরো বাজার জুড়ে রয়েছে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা।

সরেজমিনে দেখা গেছে বানেশ্বর বাজারে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের সাথে ইউনিয়ন ভূমি অফিস মাঠ জুড়ে এখন আমময় হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন সকাল থেকে প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে আম কেনা-বেচার ধুম। ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়ে বানেশ্বর বাজার এখন বিগত বছর গুলোর চেয়ে বেশি সরগরম। বর্তমানে লক্ষণভোগ আম বিক্রি হচ্ছে প্রতিমণ ৮৫০ থেকে এক হাজার টাকা। এছাড়া আমের জাত ভেদে দেড় থেকে দু’হাজার টাকা (১ মণ) দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গোপালভোগ, ক্ষীরসাপাত, ল্যাংড়া, দুধস্বর, কালুয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতি আম দু’হাজার থেকে দু’হাজার ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এই মোকামে প্রতিদিন জেলার পুঠিয়া, দুর্গাপুর, বাগমারা, বাঘা, চারঘাট, নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের বিক্রেতারা আম বিক্রি করতে আসেন।

এ ব্যাপারে বানেশ্বর বাজার ইজারদার ওসমান আলী বলেন, এই আমের মোকাম দেশের মধ্যে অন্যতম। প্রায় এক ডজন কুরিয়ার ও পার্সেল সার্ভিসের পাশাপাশি প্রতিদিন শতাধিক ট্রাক আম বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। এখানে আড়ৎ গুলোতে আম কেনা-বেচায় কয়েক কোটি টাকা লেন দেন হয়। বিভিন্ন হয়রানি প্রতিরোধ করতে আমের বাজার ঘিরে সার্বক্ষনিক আমাদের নিয়োগকৃত লোকজন তদারকি করছেন। এছাড়া গ্রাম পুলিশ ও থানা পুলিশ সব সময় নজরদারি করছেন।


শর্টলিংকঃ