পুঠিয়ায় বানেশ্বর হাট সংস্কারের অভাবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের দুর্ভোগ


পুঠিয়া প্রতিনিধি:

উত্তরবঙ্গের প্রথম সারির হাট গুলোর মধ্যে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর হাট অন্যতম। সরকার এই হাট থেকে প্রতিবছর কোটি টাকার উপরে রাজস্ব আয় করছেন। নিয়ম অনুসারে ইজারার ১৫ শতাংশ অর্থ হাট সংস্কার কাজে ব্যয় করার নিয়ম থাকলেও উপজেলা প্রশাসন তা করছেন না বলে অভিযোগ তুলেছেন ইজারদার। যার ফলে দীর্ঘদিন যাবত হাটে সংস্কার কাজ না করায় ক্রেতা-বিক্রেতারা প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

বানেশ্বর হাট

উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মধ্যে সর্ববৃহৎ হচ্ছে বানেশ্বর হাট। হাটটি চলতি বাংলা সনের এক বছরের জন্য এক কোটি এক লাখ ২২ হাজার টাকায় ইাজারা নেন স্থানীয় ব্যবসায়ি ওসমান আলী। গত বছরও এই হাটের ইজারা মূল্যে ছিল এক কোটি ১২ হাজার টাকা। সরকারী নিয়ম অনুসারে বড় হাট গুলোর ইজারার মূল্যের ১৫ শতাংশ সংস্কার কাজে ব্যায় করার বিধান রয়েছে।

তবে প্রতিবছর এই হাট থেকে মোটা অংকের রাজস্ব আসলেও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে গত দু’বছর যাবত উন্নয়ন মূলক প্রায় সকল কাজ বন্ধ রয়েছে। বানেশ্বর হাটের ব্যবসায়ি মাজেদুর রহমান বলেন, গত কয়েক বছর থেকে কোনো প্রকার সংস্কার কাজ না করায় হাটে আগতদের চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, এখন বর্ষা মৌসুম চলছে। হাটের বেশীর ভাগ স্থানে গর্ত হয়ে যাওয়ায় সেখানে বৃষ্টির পানি জমে থাকছে। আর ওই কাদা-পানির মধ্যে ক্রেতা-বিক্রেতাদের বিকিকিনি করতে হচ্ছে। জনদুর্ভোগের এই বিষয় গুলো যেনো দেখার কেউ নেই

হাট ইজারদার ওসমান আলী বলেন, সরকার এই হাট থেকে প্রতিবছর কোটির উপরে রাজস্ব পাচ্ছেন। অথচ উপজেলা প্রশাসন গত কয়েক বছর থেকে হাটের উন্নয়নে কোনো অর্থ ব্যয় করছেন না। যার কারণে দিন দিন হাটটি জরাজীর্ন হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি আমি মাঝে মধ্যে উপজেলা প্রশাসককে অবহিত করে আসছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে গত দু’বছর থেকে মাঝে মধ্যে এসে পরিকল্পনা করে চলে যাচ্ছেন। কিন্তু এর কোনো সুফল হচ্ছে না।

উপজেলার একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী বলেন, বানেশ্বর হাটের স্থান বৃদ্ধি করণ ও পুকুর ভরাটের নামে গত কয়েক বছর থেকে একাধিক প্রকল্পে মোটা অংকের অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়ে ছিল। আর ওই বরাদ্দে কাজ না করে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা সাবেক উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে হরিলুট করেছেন। যা পুরো উপজেলায় এক বির্তক সৃষ্টি হয়েছিল। যার কারণে গত দু’বছর থেকে এই হাটে উন্নয়ন মূলক কাজে উপজেলা পরিষদ থেকে কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।

তবে উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন, বানেশ্বর হাট কোথায় কী অবস্থায় আছে তা আমরা ইতিমধ্যে সরেজমিনে দেখেছি। বিষয়টি উপর মহলে অবহিত করা হয়েছে। এখন অর্থ বরাদ্দ হলেই কাজ শুরু করা হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওলিউজ্জামান বলেন, ওই হাট সংস্কার কাজে কিছু জটিলতা রয়েছে। তবে অল্প কিছু দিনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলোতে সংস্কার কাজ শুরু হতে পারে।

আরও পড়তে পারেন  রামেক হাসপাতালে করোনায় এক রাতে ৫জনের মৃত্যু


শর্টলিংকঃ