বান্ধবীকে বিয়ে করতে অমত : ধর্ষণ মামলায় কারাগারে যুবক


নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীতে ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার হয়ে প্রায় দুই মাস ধরে জেলে আছে মনিরুজ্জামান মান্না (২৯) নামে এক যুবক। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক মেয়ে ধর্ষণের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। তবে পরিবারের দাবি, মামলায় ধর্ষণের যে তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে, ওই সময় তিনি দেশের বাইরে ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাজশাহী সিটি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মান্নার পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে মান্নার মা হাসিবা পারভীন বলেন, ২০১৫ সাল থেকে মেয়েটির সঙ্গে তার ছেলের ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ সম্পর্ক ছিল। এ সুযোগে মেয়েটি তার ছেলের কাছ থেকে দামি দামি উপহারসহ মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। সে মান্নাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু মান্না বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় সে নানাভাবে হুমকি দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ২৬ এপ্রিল মান্না নগরীর বোয়ালিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

কিন্তু হঠাৎ করে প্রায় তিন বছর পর গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় ওই তরুণী ৫টি মোটর সাইকেলে ১২ জন অপরিচিত যুবকদের সাথে নিয়ে বাসায় আসেন। এ সময় মান্নার সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। বাসা থেকে ওই তরুণী তার বন্ধুদের নিয়ে চলে যাওয়ার সময় মান্নাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।

এরপরের দিন মান্না ও তার বোন শিলার নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ওই দিনই মান্নাকে বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিকে মামলায় ধর্ষণের তারিখ হিসেবে চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ওই সময় মান্না চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে অবস্থান করছিলেন বলেও দাবি পরিবারের।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পরবর্তীতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মামলাটির তদন্ত ভার গ্রহণ করে। তদন্ত শেষে পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছে। সেখানেও মামলার বাদির ঘটনার তারিখ নিয়ে রহস্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।


শর্টলিংকঃ